দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বাংলার বুকে এখন উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। মহালয়া থেকেই অধিকাংশ পুজো মণ্ডপের দরজা দর্শনার্থীদের জন্যে খুলে দেওয়া হয়। আর সাধারণ মানুষও ভিড় জমায় বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে। কখনও সাবেকিয়ানার স্বাদ নিতে, কখনও আবার শিল্পীর ভাবনায় বয়ে যেতে দর্শনার্থীরা শহরের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে ছুটে বেড়ায়। তবে যে সমস্ত পুজো মণ্ডপগুলো প্রতিবার আলোচনার কেন্দ্র জায়গা করে থাকে, এবার সেই তালিকায় প্রথম দিকেই নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছে উত্তর কলকাতার অর্জুনপুর আমরা সবাই ক্লাব। ৫২ বছরে পা দিল এই পুজো মণ্ডপ।
আরও পড়ুনঃ মণ্ডপে মণ্ডপে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে; শক্তি, সাহস আর সমৃদ্ধির প্রতীক ভেটাগুড়ির লাল দুর্গা
প্রতিবারই এই পুজো মণ্ডপ নতুন কিছু না কিছু করার চেষ্টা করে। গত কয়েকবছরে উত্তর কলকাতার বুকে অন্যতম আলোচিত পুজো হয়ে উঠেছে। তবে ২০২৫ সালে যে চমক আনলেন তাঁরা, তাতে মহালয়া থেকেই মণ্ডপ চত্বরে উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ছে। এবারের থিম মুখোমুখি। ভাবনায়– শিল্পী – শোভিন ভট্টাচার্য এবং শিল্পী শম্পা ভট্টাচার্য। স্টেইনলেস স্টিলের মাতৃপ্রতিমা সকলের নজর কেড়েছে।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে মাতৃপ্রতিমার ছবি থেকে ভিডিয়ো। শিল্পীর ভাবনা জায়গা করে নিয়েছে বিবেক চেতনা। নিজের সঙ্গে নিজের মুখোমুখি অবস্থান। অর্থাৎ এই মণ্ডপের পরিবেশ একবারের জন্যে হলেও মনে করিয়ে দেবে প্রতিটা মানুষের অন্তরে ঈশ্বরের বাস। সেই অপার শক্তির কথা, যা প্রতিটা মানুষের অন্তরের শক্তি। শুভচেতনা। এই মণ্ডপ ভাবনার মূলেই রয়েছে, জ্ঞান ও শিক্ষা, যা সমাজের মূল শক্তি।
আরও পড়ুনঃ ফাঁকা মাঠে গোল মমতার! পুজোর ভিড়ে টিমটিম করছে বিজেপি, বামেরা গ্যালারিতেই
মাতৃগর্ভগৃহে প্রবেশ করলেই চমকে উঠতে হয়। এ যেন এক অন্য বিশ্ব। এ যেন এক অন্য জগত। চারিদিকে কাঁচের কাজ, মাঝে বিশালাকার প্রতিমা, যা দেখার জন্যে ভিড় জমাচ্ছেন সকলেই। দুর্গার এই যোদ্ধা রূপ নজর কাড়ছে সকলের।
গোটা মণ্ডপে যে কাজ করা হয়েছে, তা দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হতেই পারে কোনও সায়েন্স মিউজিয়ামে ঢুকে পড়েছেন হয়তো, তবে মাতৃশক্তির এই প্রতিচ্ছবি সাধারণের মনে দাগ কাটছে। নতুন করে ভাবতে সাহায্য করছে। আর সেই সকল তথ্য সকলের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ায় এবার আরও বেশি নজর কেড়েছে অর্জুনপুর আমরা সবাই ক্লাব।