পাকিস্তানের শাহবাজ সরকারের বৈমাতৃসুলভ আচরণের প্রতিবাদে ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে অধিকৃত কাশ্মীর। সোমবার পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির ডাকা মিছিলে। পুরো অঞ্চল জুড়ে ‘শাটার ডাউন ও চাক্কা জ্যাম’ বনধ ডাকা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের এই বনধ ঘিরে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও পড়ুনঃ এবার কী করবে পাকিস্তান? এবার কি পাকিস্তানের দিকে নজর ইজরায়েলের!
প্রসঙ্গ, আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি গত কয়েক মাসে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এদিন হাজার হাজার মানুষ ব্যানার হাতে নিয়ে পথে নেমেছে। কমিটির ৩৮ দফা দাবির অন্যতম হল কাঠামোগত সংস্কার। পাশাপাশি অধিকৃত কাশ্মীরের বিধানসভায় পাকিস্তানের বসবাসকারী কাশ্মীরি শরণার্থীদের জন্য ১২ আসনের সংরক্ষণ বাতিল করার দাবিও জানানো হয়েছে।
পাক সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভে ফুঁসছে অধিকৃত কাশ্মীর। অভিযোগ, গোটা অঞ্চলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো ও পানীয় জলের অভাব গুরুতর।
বারবার দাবি জানানো হলেও সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সরকারি কাজে অবহেলা, দুর্নীতি, ঘুষ মাত্রাছাড়া আকার নিয়েছে। এদিকে প্রশাসনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে কোনওরকম ধর্মঘট বরদাস্ত করা হবে না। যদিও ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্থানীয় আইনজীবীরাও ধর্মঘটের সমর্থনে বার্তা দিয়েছেন।
পাবলিক অ্যাকশন কমিটিকে সমর্থন জানিয়ে মুফতিবাদের একজন প্রবীণ আইনজীবী বলেন, প্রশাসনের উচিত জনগণের দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া তাদের দমন করা নয়। ধর্মঘট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। এই ধর্মঘটে সব শ্রেণির মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে অধিকৃত কাশ্মীরে নতুন করে বিক্ষোভের আগুন চাপ বাড়াচ্ছে পাকিস্তানের।
উল্লেখ্য, চলতি মাসে মরক্কো সফরে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজনাথ সিং। জানিয়েছিলেন, “আমাদের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কোনও হামলা চালানোর প্রয়োজন নেই। ওটা আমাদেরই। পিওকে একদিন নিজে থেকেই বলবে আমি ভারতের অংশ।” ফের একবার সেই ধ্বনিই যেন শোনা যাচ্ছে অধিকৃত কাশ্মীরে।