কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
উত্তরের পুজো অনেক বছরই নজরকাড়া। দক্ষিণবঙ্গ ও কলকাতার জৌলুষ অনেকটাই এখন উত্তরবঙ্গের পুজোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে সঞ্চারিত। অনেকটা একই রকম থিম, বিষয় ভাবনায় পুজো সাজিয়ে তোলেন উদ্যোক্তারা।
তাই দেরি না করে তৃতীয়া থেকেই পথে নেমে পড়েন আট থেকে আশি। শিলিগুড়িতে তৃতীয়া থেকে যে ভিড়টা মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, সপ্তমীর রাত ১০ টাতে সেই ভিড়টাই রীতিমতো আছড়ে পড়েছে মণ্ডপগুলিতে। শিলিগুড়ির সুব্রত সঙ্ঘ, দাদাভাই স্পোর্টিং, সেন্ট্রাল কলোনি, হায়দারপাড়া স্পোর্টিং, শক্তিগড় উজ্জল সঙ্ঘের মতো পুজো মণ্ডপগুলোতে কার্যত তিল ধারনের জায়গা ছিল না।
আরও পড়ুনঃ জনসমুদ্রে ভাসল তিলোত্তমা; যানজটের ভোগান্তি তো আছেই, পুজোর বাকি তিন দিন!
শেষ বিকেল থেকে শুরু হওয়া জনজোয়ার যত রাত গড়িয়েছে ততই বেড়েছে। শিলিগুড়ি উইনার্স ক্লাবের পুজো মণ্ডপের সামনে সন্ধেবেলাতেই ভিড়ের কারণে রাস্তা রীতিমতো বন্ধ। একই পরিস্থিতি দেশবন্ধুপাড়ার আরও এক বড়পুজো ওয়াইএমএ ক্লাবকে কেন্দ্র করেও। শক্তিগড় উজ্জ্বল সঙ্ঘের ডিজনিল্যান্ডের সামনে শুধু মানুষের মাথা।
আরও পড়ুনঃ ভিড় সামাল দিতে অভিনব হাতিয়ার কলকাতা পুলিশের! মারবে কিন্তু লাগবে না!
সপ্তমীর সকালের মধ্যেই শিলিগুড়ি তথা দার্জিলিং জেলায় কোন কোন পুজো সেরার শিরোপা পেয়েছে তা জানতে পেরে গেছেন দর্শনার্থীরা। সেই মতো অনেকেই পথে নেমে আগে সেরা পুজোগুলো দেখে নিতে চাইছেন। তবে সেরার তালিকায় থাকুক বা না থাকুক, ভিড় টানতে পিছিয়ে নেই অন্যপুজোগুলোও। শুধু শহরকেন্দ্রীক পুজোগুলোই নয়, মহকুমার গ্রামীণ এলাকার পুজোগুলোতে সপ্তমীর সন্ধেতে কার্যত জনপ্লাবন লক্ষ করা গেছে।
দিনের বেলা তীব্র গরম থাকলেও রাতে আবহাওয়া ভালই ছিল। বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ফলে চুটিয়ে পুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে ঢল নেমেছে দর্শনার্থীদের। সঙ্গে ছিল বিভিন্ন খাবারের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। শিলিগুড়ির পাশাপাশি কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদার পুজোর ছবিটাও কমবেশি একই রকম। সর্বত্রই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাল পুজোগুলো দেখে নিতে চাইছেন দর্শনার্থীরা। আর তাই ভিড়টা সন্ধে থেকেই।


                                    


