অদ্ভুত! অসাধারণ! অসামান্য বললেও কম বলা হয়। হিমাচল প্রদেশের একটি সরকারি স্কুলের প্রিন্সিপালের সই করা চেক দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছে আপামর সমাজ। বানান ভুল বললে কিছুই ব্যাখ্যা হয় না। একেবারে রীতিমতো সাধ্যিসাধনা করে এমন ইংরেজি লেখা যায়। বানান দেখে নেটপাড়ায় হাসিখিল্লি তো চলছেই, সেই সঙ্গে চলছে শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্দশা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
আরও পড়ুনঃ বিদ্রোহের আগুনে পুড়ছে পাকিস্তান; কোয়েটায় বোমা বিস্ফোরণ
২৫ সেপ্টেম্বরের এই চেকে প্রিন্সিপাল কোনও এক ব্যক্তিকে সাত হাজার ৬১৬ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। দাবি যে, আত্তের সিং (অন্তত চেকে যা লেখা আছে, সেই বানান অনুযায়ী) নামে মিড ডে কর্মীকে এই পেমেন্ট দিয়েছিলেন প্রিন্সিপাল। কিন্তু, ব্যাঙ্কে তা জমা পড়লে কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে তা ফেরত পাঠিয়ে দেয়। কারণ এই চেকে ওয়ার্ডে যে পরিমাণ লেখা হয়েছে, তা অঙ্কের তুলনায় ভয়াবহ।
কিছুটা বর্ণনা দিয়ে বলা যায়, প্রিন্সিপাল সেভেনকে লিখেছেন সাভেন (saven) থাউজেন্ডকে লিখেছেন (Thursday) এবং হান্ড্রেডকে লিখেছেন (harendra)। আর সবশেষে সিক্সটিনকে লিখেছেন সিক্সটি। এর মধ্যে মাত্র একটি শব্দ সিক্স তিনি ঠিক বানান লিখেছেন। একপক্ষের মতে, চেকটি তাঁর লেখা নাও হতে পারে। কারণ একটি সিনিয়র সেকেন্ডারি সরকারি স্কুলের প্রধানের পক্ষে এই বানান লেখা অসম্ভব। তবে অন্যদের মত, আর কেউ লিখে দিলেও তিনি তা পরীক্ষা না করেই ছেড়ে দিলেন কী করে!
আরও পড়ুনঃ এবার আরএসপির কেন্দ্রীয় কমিটি সোনম ওয়াংচুকের মুক্তির দাবী জানালো
একজন মুরুব্বি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, এখনকার শিক্ষকদের তো এই হাল। এই জন্যই কেউ সরকারি স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়তে পাঠাতে চায় না। আমাদের মতো যারা সরকারি স্কুলে পড়েছে তাদের খুব কষ্ট হয় এসব দেখলে।
সব জায়গাই তো বদলে যাচ্ছে, তাহলে সরকারি স্কুল কেন বদলাতে পারে না, প্রশ্ন তোলেন তিনি। আরেকজন মজা করে লিখেছেন, এটা কলমের অটো কারেক্ট সিস্টেমের দোষ। কেউ কেউ নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি তুলেছেন।