কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
প্রকৃতির রোষে উত্তরবঙ্গ। ভেঙে গিয়েছে বাড়ি। মিরিক থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসছে। এরই মধ্যে এবার ভূটান থেকেও ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সতর্ক করল ভূটান। ওয়াং নদীর টালা বাঁধের গেট না খোলায় বাড়ছে বিপদ। প্রবল বৃষ্টিতে টালা বাঁধের জল উপচে বইছে নদী। তাই জলের চাপে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা। আর বাঁধ ভাঙলে ভাসবে ডুয়ার্সের ভুটানঘাট সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই কারণেই সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মৃত্যু ৫ জনের, মিরিকে ধস, ভেঙে গেল দুধিয়া সেতু, উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ অবস্থা
ইতিমধ্যেই ভূটানের অনেক নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে বাংলা। এর মধ্যেই শিয়রে আবারও বিপদ। ভূটানের তরফে জানানো হয়েছে, ওয়াং নদীর টালা বাঁধের একটি গেট খুলছে না। সেই কারণে জল বেরাচ্ছে বাঁধের উপর দিয়ে। জলের প্রবল চাপ পড়ছে বাঁধের উপর। সেই কারণে যদি কোনও কারণে ভেঙে যায় সেক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ জলরাশি হুড়মুড়িয়ে নীচের দিকে নেমে আসবে। আর তার জেরে জয়ন্তী অঞ্চল অর্থাৎ ভূটান ঘাট এলাকা যেখানে প্রচুর পর্যটক ঘুরতে যান সেই সব এলাকা যে প্লাবিত হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সেই কারণে ইতিমধ্যেই ভূটান থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ডুয়ার্সের নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষদের যেন অন্য়ত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে বাঁধের দরজা খুলে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারের যমুনাদিঘি এখন এঁদো পানাপুকুর; বড়োদেবীর ভাসানে বির্তক
গতকাল আলিপুর আবহাওয়া অফিস উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে লাল সতর্কতা জারি করেছিল। একদিনে ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হবে। সেই পূর্বাভাস অক্ষরে অক্ষরে মিলেছে।
কোথায় কত বৃষ্টি হয়েছে?
কুর্তি, জলপাইগুড়ি ৩৭০ মিমি
ডায়ানা, জলপাইগুড়ি ৩৪৪ মিমি
বানারহাট, জলপাইগুড়ি ৩১০ মিমি
গজলডোবা, জলপাইগুড়ি ৩০২ মিমি
মেখলিগঞ্জ, কোচবিহার ২৬৪ মিমি
দার্জিলিং ২৬১ মিমি
নেওড়া, জলপাইগুড়ি ২৪৫ মিমি
লাভা, কালিম্পং ২০২ মিমি
বিজনবাড়ি, দার্জিলিং ১৫৪ মিমি
সিকিমে কত বৃষ্টি?
নামথাং ১৫৫ মিমি
মাজিটার ১২৮ মিমি
সোরেং ১১৮ মিমি
প্যাকিয়ং ১১৭ মিমি
রোংলি ১১৭ মিমি
রাবাংলা ১০১ মিমি
গ্যাংটক ৮৮ মিমি