কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
ভারী বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ। জলমগ্ন একাধিক রাস্তা। ভেঙে গিয়েছে রাস্তা-সেতু। নাগারাকাটা, বানারহাটের মতো একাধিক জায়গা জলমগ্ন। আগেই উদ্ধারে নেমে গিয়েছে NDRF এবং পুলিশ কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকলেই উদ্বিগ্ন। মৃতের সংখ্যা ক্রমেই লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার ময়দানে নামল ভারতীয় সেনা।
আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গ বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১৭, নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
কেন্দ্রের নির্দেশে ইতিমধ্যেই দুধিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে সেনা আধিকারিকের দল। অস্থায়ী ব্রিজ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেনাকে। এলাকা ঘুরে দেখছেন সেনার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের কর্তারা। এরপরই শুরু হবে কাজ।
এ দিকে, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, “দার্জিলিঙে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় আমি মর্মাহত। যাঁরা নিজেদের প্রিয়জনকে হারালেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা। আমি আশা রাখি, আপনাদের এই ক্ষত সেরে যাবে।” মোদী আরও লিখেছেন, “দার্জিলিং ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টির জেরে কার্যত ভেসে গিয়েছে। ধসের কারণে পাহাড় হয়েছে বিচ্ছিন্ন। আমরা গোটা পরিস্থিতির উপরেই নজর রেখেছি। দুর্গতদের যাবতীয় সাহায্য পৌঁছে দিতেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
আরও পড়ুনঃ রবিবার একের পর এক বাতিল হচ্ছে উত্তরবঙ্গের ট্রেন, কিছু ট্রেন ছুটবে ঘুরপথে
শুধুই প্রধানমন্ত্রীই নয়। উত্তরের লাগাতর বৃষ্টি নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সর্বক্ষণ মনিটরিং চলছে বলেই তিনি জানিয়েছেন।
মমতা বলেন, “আমি সকাল ৬টা থেকে মনিটর করছি। মৃত্যুর ঘটনায় সত্যিই মর্মাহত। পাঁচটা জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করেছি।’ এমনকী মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি শিলিগুড়ি যাব। কালই যাব। সেফ হাইসে অনেক মানুষকে পাঠানো হয়েছে। যাঁদের বাড়ি ভেঙে গেছে তাঁরা যাতে বাড়ি পায় সেটা দেখব। আর যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন তাঁদের পরিবার যাতে চাকরি পায় আমরা দেখে দেব।”