তিন দশক পর বাংলাদেশে গিয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কখনও ছবি তুলেছেন মৈত্রী এক্সপ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে। কখনও বা কক্সবাজারে। এক কথায়, ওপার বাংলায় গিয়ে একেবারে খোশমেজাজে রয়েছে এপার বাংলার বিধায়ক। কিন্তু বিতর্ক? তা যেন হুমায়ুনের পিছু পিছুই চলে। তাই তো পড়শি দেশে গিয়েও বিতর্কে না জড়িয়ে থাকতে পারলেন না তিনি।
সম্প্রতি, বাংলাদেশের হিন্দু অত্যাচার ও নিধনের একটি ‘রিপোর্ট কার্ড’ প্রকাশ করেছিল নয়াদিল্লি। গণঅভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকার তৈরির মাঝের সময়কালে বাংলাদেশে কীভাবে হিন্দু বা সেদেশের নিরিখে সংখ্যালঘুদের উপর অত্য়াচার, নির্যাতন চলেছে সেই তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু হুমায়ুন যেন এই সব রিপোর্টের ধার ধারেন না।
বাংলাদেশে ঘুরতে গিয়ে তিনি বললেন অন্য কথা। সেখানে হিন্দুরা বেশ ভাল রয়েছেন বলে দাবি করলেন ভরতপুরের বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘এখানকার সম্প্রীতি ভাল। হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হয় বলে যে সব প্রচার চলে, তা সর্বৈব মিথ্যা। এখানে অনেক সুন্দরভাবে দুর্গাপুজো হয়। কক্সবাজারে গিয়েছিলাম, সেখানেও পুজো হয়, ঢাকাতেও পুজো হয় দেখলাম। পদ্মা সেতু ঘুরেছি, বোটেও চেপেছি।’
আরও পড়ুনঃ ২ দফায় ভোট বিহারে, তারিখ জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন
হুমায়ুনের এই মন্তব্যে ক্ষেপেছেন মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত দাস। এদিন তিনি বলেন, ‘উনি হয়তো ইউনূসের ডাকে সেখানে গিয়েছেন। কিন্তু মাথার সমস্যাটা তো সারেনি। কক্সবাজারে ঘুরছেন, সমুদ্র-সৈকত দেখছেন।
অবশ্য বাংলাদেশের খবর হুমায়ুন কতটা রাখেন, সেই নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় ইউনূস ওনাকে অফার দিয়েছেন। ওনাকে হয়তো কোনও ভাবে বলেছেন, আপনি এই ধরনের মন্তব্য করুন, যেমনটা বাংলায় করেন। তাই উনিও অফার পেয়ে এই সব কথাই বলছেন।’ হুমায়ুনের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল শাসক শিবির বা তৃণমূল নেতাদেরও। কিন্তু কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দিতে তাঁরা নারাজ।