দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা:
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ বর্তমানে অন্যতম আলোচনার বিষয় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। আমেরিকার তরফ থেকে জোরকদমে চেষ্টা করা হচ্ছে এই যুদ্ধ থামানোর। যদিও এখনো পর্যন্ত তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুনঃ রেশন কার্ডে বড়সড় খাঁড়া! বাংলায় বাতিল ৩.৫৩ লক্ষ কার্ড
মাঝেমধ্যেই তাঁকে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যাচ্ছে। তবে বাংলার এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দল মনে করছেন গোটা বিষয়টি একটি সেটিং ছাড়া আর কিছুই নয় ট্রাম্প ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর।
মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, দলের তরফ থেকে কলকাতায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস অভিযানে নামা হয়। তাদের দাবি, আমেরিকা ও ইসরাইল, দুজনেই পরিকল্পনা করছে গাজাকে উপনিবেশ বানানোর। এখানেই শেষ নয়, দলের তরফ থেকে এটাও দাবি করা হয়েছে যে প্যালেস্টাইনের শাসনভার যেন সেখানকার জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ এ কি কাণ্ড! ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে গাড়িতে আচমকা আগুন; ব্য়াপক চাঞ্চল্য এলাকায়
এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের সামনে জমায়েত করেন সংগঠনের সদস্যরা এবং স্লোগান দিতে দিতে এগোতে শুরু করেন দূতাবাসের দিকে।
তবে মাঝপথে বিক্ষোভকারীদের আটকে দেওয়া হয় এবং পার্ক স্ট্রিটের ব্যস্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। স্লোগান তোলা অব্যাহত থাকে। অবশেষে এফিজি পড়ানো হয় ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর। এদিনের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে সংগঠনের এক নেতা দাবি করেন যে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে কোনও মতপার্থক্য নেই এবং পুরো পর্বটি এগোচ্ছে পরিকল্পনা মাফিক। বলা ভালো, তিনি দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে বলে দাবি করেন। তবে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে, গাজায় ইসরাইলের ধ্বংসলীলা, এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যা দেখে বহু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে আগামীদিনে বিষয়টি অন্য পর্যায়ে যেতে পারে।