গতকাল ০৬.১১.২৫ সকালের আহ্বানে উত্তর কলকাতার বিশিষ্ট হোম দরদী শ্রী দীপন কৃষ্ণ মিত্রের দেওয়া ৫০ হাজার টাকা এবং ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডাঃ বিষ্ণুপদ মাইতির সক্রিয় উদ্যোগে বহু ভেট চিকিৎসক ও হোমের সাথে দৈনন্দিন যুক্ত অগণিত চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, শিক্ষক এবং অন্যান্য হোম দরদীদের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই সংগৃহীত হয়েছে তিন লক্ষাধিক টাকা।
আরও পড়ুনঃ গাজা পর্ব ইসরাইল-আমেরিকা, মার্কিন দূতাবাস অভিযান এসইউসিআই (কমিউনিস্টের)
তার একাংশ দিয়ে জলপাইগুড়ি স্টুডেন্টস হেলথ হোমের সম্পাদক সুমন সরকারের নেতৃত্বে আজ চিড়া, গুড়, ছাতু, সাবান, গুঁড়ো দুধ, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ত্রিপল নিয়ে একটি সাধারণ ত্রান দল ঝুঁকিপূর্ণ পথ পেড়িয়ে পৌঁছে যায় নাগরাকাটার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে। এই বিবৃতি লেখা পর্যন্ত তারা দূর্গম নদী পথ পেড়িয়ে জলপাইগুড়ি শহরের দিকে পাড়ি দিয়েছে। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে এই ত্রান কয়েক দিন চলবে।
তবে গতকাল এই দুটি শহর ও শিলিগুড়ি এবং কোচবিহার স্টুডেন্টস হেলথ হোমের পরিচালন সমিতির সদস্যদের নিয়ে রাতে এক অনলাইন সভায় আগামীতে মেডিক্যাল ত্রানে জোর দেবার জন্য জোরালো আবেদন আসে। যোগাযোগ ব্যবস্থার একটু উন্নতি হলে হোম ইয়াসের মতো এব্যাপারে বেই মনযোগী হবে।
আরও পড়ুনঃ রেশন কার্ডে বড়সড় খাঁড়া! বাংলায় বাতিল ৩.৫৩ লক্ষ কার্ড
এছাড়া গতকাল থেকে জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি স্টুডেন্টস হেলথ হোম তাদের নিজ নিজ সুপরিসর ভবনে উত্তরবঙ্গে আটকে যাওয়া ভ্রমনার্থী দের নিখরচায় থাকা ও খাওয়ানোর বন্দোবস্ত রাখছে বলে ঘোষণা করেছে।
হোম তার শাস্বত প্রথা মেনে আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধ পরিকর। নিরলস ভাবে হোম দরদীরা অর্থ ও সাহস যুগিয়ে চলেছেন। হোমের উপর এই আস্থার জন্য হোম সম্পাদকমণ্ডলী প্রত্যেকের কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা জানায়।