কাফ সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যু! ২০ শিশুর মৃত্যুর পরই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে কোল্ডরিফ সিরাপকে। চলছে তদন্ত। এর মধ্যেই এবার কড়া নির্দেশ এল কেন্দ্রের তরফ থেকেও। ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসের তরফে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ফার্মাসিউটিকাল পণ্যেের আরও কড়াভাবে পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হল।
শিশু মৃত্যুর সংখ্যা আগে ১৬ ছিল। গত ২৪ ঘণ্টাতেই নতুন করে ৪ শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে মধ্যে প্রদেশে। তদন্তে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু কাফ সিরাপ, যা ৪ বছরের নীচে শিশুদের দেওয়াই উচিত নয়, তা দেদার বিক্রি হচ্ছে। এরপরই কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ড্রাগ কন্ট্রোলারদের বলা হয়েছে যে ওষুধ তৈরির কাঁচামালের প্রতিটি ব্যাচ যেন পরীক্ষা করা হয়। এবং ওষুধ তৈরির পরেও অর্থাৎ তৈরি ফর্মুলেশনও সঠিকভাবে পরীক্ষা করা হয় বিক্রি বা ব্যবহারের আগে।
আরও পড়ুনঃ বিরল এক দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন জয়নগরের মানুষজন! হঠাৎ করেই উঁকি মারল এভারেস্ট
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যেমন মধ্য প্রদেশ, রাজস্থানে কাফ সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে, তেমনই গত বছর গামিবিয়া ও উজবেকিস্তানেও ভারতে তৈরি কাফ সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছিল। এর আগেও একাধিক পরীক্ষায় ধরা পড়েছে যে ডায়াথিলিন গ্লাইকল বা ইথালিন গ্লাইকলের মতো বিষাক্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলভেন্ট কাফ সিরাপে মিশে রয়েছে। যদি ওষুধ তৈরির আগেই কাঁচামাল পরীক্ষা করা হত, তাহলে এত মৃত্যু এড়ানো যেত।
ডিসিজিআই-র তরফে নির্দেশিকায় স্পষ্ট লেখা হয়েছে যে একাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিটি এক্সপেরিমেন্ট ব্যাচ পরীক্ষা করছেন না। এই ধরনের গাফিলতির জেরেই এমন ঘটনা ঘটছে। ড্রাগ প্রস্তুতের যে নিয়ম রয়েছে অর্থাৎ কাঁচামাল ও প্রস্তুত ওষুধ- উভয়েরই পরীক্ষা করতে হবে, তা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। স্বীকৃত ভেন্ডরদের থেকেই একমাত্র কাঁচামাল কিনতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে এসব কি হচ্ছে! তুফানগঞ্জে ঝাউকুঠি ও ঝলঝলি দিয়ে গোরু পাচারের তৎপরতা বাড়িয়েছে পাচারকারীরা
উল্লেখ্য, মধ্য প্রদেশের চিন্দওয়াড়ায় বিক্রি হওয়া কোল্ডরিফ সিরাপে ডায়াথিলিন গ্লাইকলের উপস্থিতি মিলেছে, তাও আবার নির্ধারিত সীমার ৫০০ গুণ বেশি। সিরাপ খেয়ে এখনও হাসপাতালে ভর্তি ৬ শিশু। তাদের অবস্থা সঙ্কটজনক।
শিশুরা খেয়েছিল, এমন ১৯ টি সিরাপের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও ৬ রাজ্যে তল্লাশি শুরু হয়েছে। রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরল ও মহারাষ্ট্রে কোল্ডরিফ সিরাপ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।