সন্ধেবেলা ক্যাম্পাসের বাইরে খাবার খেতে বেরিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়া। ফেরার পথে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে, এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নির্যাতিতা। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরে।
নির্যাতিতা তরুণী দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। তিনি ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঃ রাহুল গান্ধীও ভারতে গণতন্ত্রের লড়াই লড়ছেন; নোবেল চাইবে কংগ্রেস!
গতকাল সন্ধেবেলা ক্যাম্পাসের বাইরে এক সহপাঠীর সঙ্গে খাবার খেতে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ফেরার পথে কিছু যুবক পথ আটকায় তাঁর। সরিয়ে দেওয়া হয় সেই সহপাঠীকে। কেড়ে নেওয়া হয় তরুণীর মোবাইল। তারপর টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় এক নির্জন এলাকায়। সেখানেই তাঁর ওপর চালানো হয় নির্যাতন। পরে তাঁকে সেই সহপাঠীই উদ্ধার করে তাঁদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গতকাল রাত সাড়ে ৮টা ৯ নাগাদ ঘটে এই ঘটনা। সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা নাগাদ ওড়িশায় বসে খবর পান বাবা-মা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা রাতেই বেরিয়ে পড়েন, তড়িঘড়ি ভোর নাগাদ এসে পৌঁছন দুর্গাপুরে।
থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর নিউটাউন থানার পুলিশ। কলেজের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে খবর।
পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও এসে পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে, কথা বলেছেন নির্যাতিতার সঙ্গে।
আরও পড়ুনঃ অনুপ্রবেশের ফলে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, বললেন শাহ
ভিনরাজ্যে মেয়েকে পড়তে পাঠিয়ে এমন বিপদ ঘটবে, দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি বাবা-মা। ‘কলেজ তো ভাল জেনেই পাঠিয়েছিলাম মেয়েকে,’ গলায় আক্ষেপ নির্যাতিতার বাবার।
নির্যাতিতার মায়ের তরফে উঠে এসেছে বিস্ফোরক এক অভিযোগ। তাঁর কথায়, মেয়ে বাইরে যেতে চায়নি। সহপাঠীর কথায় তিনি বাইরে যেতে রাজি হন। তারপর ঘটে এই ঘটনা।
ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি, কারণ বিষয়টি এখনও তদন্তের আওতায় রয়েছে। এই ঘটনায় সেই সহপাঠীও জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই রাজ্যেই ঘটে গিয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মতো ঘটনা। আবারও এখানেই নির্যাতনের শিকার ভিনরাজ্যের এক ডাক্তারি পড়ুয়া। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্ত এগচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।