আবারও বাঁধে ফাটল। এবার বাসন্তীতে ফাটল দেখা গেল নদী বাঁধে। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছল সেচ দফতর। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের মসজিদ বাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য মসজিদ বাটি গ্রামে করতাল নদীর বাঁধে প্রায় ৩০০ ফুট ফাটল দেখা দেয়। এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুনঃ ২০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি; বাজেয়াপ্ত ৪৫ লক্ষ টাকা!
ইতিমধ্যে এই ঘটনার পরই ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। JCB দিয়ে নদী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।বর্ষার সময় বাঁধের কাজ করায় মানুষ যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করে দেওয়া না হলে যখন তখন নদী বাঁধ ভেঙে এই এলাকায় কয়েকশ বিঘে ধান জমি,পুকুরের মাছ সহ ঘরবাড়ি ক্ষতি হতে পারে। বস্তুত, উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বিভীষিকা দেখেছে গোটা বাংলা। কীভাবে প্রকৃতির রোষে শেষ হয়ে গিয়েছে সবকিছু। যদিও, সুন্দরবনের মানুষ এই সব দেখে অভ্যস্থ। হামেশাই নদী গিলে খেয়ে নেয় সব কিছু। এই আবহের মধ্যে আবারও নদীবাঁধে ফাটল। আর তাতেই আতঙ্কে সকলে।
গ্রামবাসী জয়ন্তী চক্রবর্তী বলেন, “এখানে কাজ ভাল মতো হয় না। সেচ দফতর কাজ করে। আমাদের দাবি কংক্রিটের বাঁধ হোক। অন্তত ৫০ ফুট ফাটল হয়েছে। আর একদিন পার হলেই এটা জলে ভেসে যাবে।” বস্তুত, এর আগে বাঁধ ভেঙে গোসাবা ব্লকের অন্তর্গত আমতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের পুঁইজালি গ্রামেতে বুধবার সকালে ঢুকে পড়ে বন্যার জল।
আরও পড়ুনঃ ক্ষেপেছে কাবুলিওয়ালারা! পাকিস্তানের দিকে এগোচ্ছে তালিবান
পূর্ণিমার কোটালের জেরে রায়মঙ্গল নদীতে বেড়েছিল জল। আর তাতেই প্রায় ২০০ ফুট মাটির নদী বাঁধ ভেঙে সরাসরি নদীর নোনা জল ঢুকে পড়ে চাষের জমিতে। শুধু তাই নয়,যে যে পুকুরে মাছ চাষ করা হয় সেই সব পুকুরেও নদীর জল ঢুকে পড়ে। জল একেবারে গৃহস্থের দরজায় এসেও পৌঁছেছে। প্রায় ২৫০ বেশি বাড়ির দুর্গত মানুষ বাড়ির বাইরে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
যখন উত্তর বঙ্গে বিজেপি নেতারা মার খাচ্ছে, পুঁইজালিতে তৃণমূল নেতাদের এলাকায় ঢুকতে বাধা দিচ্ছে গ্রামবাসী তখন গতকাল আর এস পি প্রতিনিধিদের কাছে গ্রামের মানুষ নিজেদের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরছেন, অত্যাচারের কথা তুলে ধরছেন, সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরছেন, জোর করে চা-জলও খাইয়েছেন। সবশেষে লড়াইয়ে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। আর এস পি দলের পক্ষ থেকে দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সুবোধ মাইতি, আদিত্য জোতদার সহ স্থানীয় নেতৃত্ব মনোরঞ্জন ঘোড়ুই, কাজল মন্ডল সহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা সেখানে যান এলাকা পরিদর্শনে।