কোভিড-১৯। মারণ সংক্রমণের কোপে পড়েছিল গোটা বিশ্ব। লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই সংক্রমণে। সেই করোনার ধাক্কা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব। আবার একটা সংক্রমণের আতঙ্ক গ্রাস করছে। চিনের পর এবার জাপানে দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্য সঙ্কট। কী রোগ ছড়াচ্ছে সেখানে?
আরও পড়ুনঃ যাত্রীরা তিতিবিরক্ত, রেল ‘অসহায়’! অবরুদ্ধ শিয়ালদহের মেট্রো স্টেশনের ফটক; নেপথ্যে ‘টাকার চক্র’?
হঠাৎ করেই জাপানে ছড়াচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা আরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাপমাত্রা যত কমছে, ততই আক্রান্ত বাড়ছে। হঠাৎ এমন ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ বাড়তেই জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এপিডেমিক বা অতিমারী ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৩ অক্টোবরই জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক অতিমারি ঘোষণা করেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে ৪ হাজার ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানেই গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৫৭। জাপান স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রেকর্ড অনুযায়ী, বিগত ২০ বছরে দ্বিতীয়বার এমন হল যে ঋতু পরিবর্তনের সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়িয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বিপুল বেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ খেলছে তালিবান, উচিত শিক্ষা পাচ্ছে পাকিস্তান, দিচ্ছে আফগানিস্তান! যুদ্ধ শুরু?
জাপানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দেশ জুড়ে ৩ হাজার হাসপাতালে ৪ হাজারেরও বেশি ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্তের চিকিৎসা করা হয়েছে। সবথেকে বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে ওকিনাওয়াতে। এরপরে টোকিয়ো, কাগোশিমাতেও আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। অতিমারির যে সীমা রয়েছে, তা পার করে যাচ্ছে। এবং এতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ। এই ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
সংক্রমণ রুখতে ১৩৫টি স্কুল. কিন্ডারগার্টেন, চাইল্ডকেয়ার সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাহলে কি এই ইনফ্লুয়েঞ্জাও অতিমারি থেকে মহামারির আকার নেবে?