কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
কালীপুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। এর মধ্যেই রাজ্যজুড়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। শিলিগুড়ির অদূরে সেবকের সেবকেশ্বরী কালী মন্দিরও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। এই মন্দিরের পুজোকে ঘিরে হাজার হাজার ভক্তের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করালবদনা কালী যেন পাশের বাড়ির শ্যামলা মেয়েটি! আদর করে ‘মা’ বলে ডাকে বাঙালি
এবছর ইতিমধ্যেই মন্দিরে পুজোর আয়োজন শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কালীপুজোর দিন রাতভর পুজো হবে। প্রতিবছর এই দিনে মন্দিরে ব্যাপক ভিড় হয়। দুপুর থেকেই ভক্তরা মন্দিরে পৌঁছে যান। এরপর সারারাত পুজো চলে। ভোরবেলায় প্রসাদ নিয়ে সকলে ফিরে আসেন। যদিও কালীপুজোর পরের দিনও সারাদিন পুজো ও আরতির আয়োজন থাকে।
১৯৫০ সালে তৈরি হয়েছিল সেবকেশ্বরী কালী মন্দির। দীর্ঘ প্রায় ৭৫ বছর ধরে ওই মন্দিরে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। এবার পুজো উপলক্ষ্যে মন্দিরের রেলিং থেকে শুরু করে আরও কিছু জিনিস সংস্কার করা হয়েছে। প্রতিবছর শিলিগুড়ি থেকে সপরিবারে পুজোর রাতে মন্দিরে যান আশুতোষ সাহা। তিনি এবছরও যাবেন। আশুতোষের কথায়, ‘আমি গত ২০ বছর ধরে মায়ের পুজোয় যাই। ওই মন্দিরে না গেলে পুজো অসম্পূর্ণ বলে মনে হয়। সারারাত জেগে পুজো দেখে সকালে ফিরে আসি।’
আরও পড়ুনঃ বাঙালদের রোয়াবিতে জনপ্রিয় কোজাগরী, ঘটিবাড়িতে কালীপুজোর রাতে আরাধ্যা অলক্ষ্মী
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, আগে এই মন্দিরে বলিপ্রথার চল থাকলেও ২০২৩ সাল থেকে তা বন্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে চালকুমড়ো, অন্যান্য ফল ও সবজি বলি দেওয়া হয়ে থাকে। এবার রাত আটটা থেকে পুজো শুরু হয়ে রাতভর চলবে। সকালে ভক্তদের প্রসাদ দেওয়া হবে। পরেরদিনও একাধিক আয়োজন থাকবে। মন্দিরের পুরোহিত নন্দকুমার গোস্বামীর কথায়, ‘আমাদের এই মন্দিরের সঙ্গে সাধারণ মানুষের আস্থা, ভরসা জড়িয়ে আছে। প্রতিবছরের মতো এবছরও পুজোর আয়োজন ভালোই চলছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তের ঢলে আমাদের পুজোর শোভা আরও বাড়ে।’
এছাড়া পুজোর দিনে আশপাশের ফুল, প্রসাদ বিক্রেতাদের মুখেও হাসি ফোটে। মন্দিরের আরেক ভক্ত সুমিত সরকারের কথায়, ‘ইতিমধ্যেই একবার মন্দিরে গিয়ে শুনে এসেছি পুজোর দিন কখন যেতে হবে এবং কোন সময়ে পুজো হবে। ওখানে এত নিয়মনিষ্ঠাভরে পুজো হয় যে না গিয়ে পারি না।’