ফের অশান্ত বাংলাদেশ। আরও একবার ছাত্রদের আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ ঢাকা। এবার ক্ষোভের মুখে পড়লেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের দাবিতে ঢাকায় সংসদের সামনে জুলাই আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুনঃ সংঘর্ষ বিরতি ভাঙল পাকিস্তান! ফের আফগানিস্তানে হামলা পাকিস্তানের
এদিন, শনিবার ঢাকায় জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। লাঠিচার্জ, পাল্টা ইটবৃষ্টি চলে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৬ জন আহত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। ঢাকার সংসদ ভবনের সামনে পরপর দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
এখনও পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত বলেই জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই আন্দোলনকারীদের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। জুলাই সনদে তাদের একাধিক দাবিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই এই প্রতিবাদ।
আরও পড়ুনঃ ব্রহ্মা যোগ ও ইন্দ্র যোগের জাদু, ধনতেরাসে কপাল খুলবে কোন রাশির?
গতকাল, শুক্রবারই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সবার আগে জুলাই সনদের দাবি জানিয়েছিল, কিন্তু তারাই আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করতে অস্বীকার করেছে। যদিও ইউনূস সরকার জানিয়েছে, এখনও জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সময় আছে।

পুলিশ প্রশাসন যেভাবে লাঠিচার্জ করেছে, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে, তাতে ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্য়ুত করার আগে যেভাবে ছাত্র-গণ আন্দোলন হয়েছিল এবং পুলিশ-সেনা নির্বিচারে লাঠিচার্জ, অত্যাচার করেছিল, সেই কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই ধরপাকড় শুরু করেছে। এলাকায় র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে সেনাও মোতায়েন করা হতে পারে।


                                    

