মাঠে-ময়দানের চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলির লড়াই কি এবার প্রাধান্য পাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে? বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই নিয়েই বাড়ছে জল্পনা। আর সেই জল্পনা বাড়ার কারণ, ডিজিটাল দুনিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারে জোর দিচ্ছে রাজ্যের যুযুধান দুই পক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ TMC: ২৬- এর আগে তৃণমূলের ‘টার্গেট’ তরুণ ব্রিগেড! ‘আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা!’ প্রচার অভিষেকের
একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা’ কর্মসূচি চালু করেছেন। তখন রাজ্যের সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে আগামী সপ্তাহে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যস্তরের নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক তথা আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য। সূত্রের খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত সমস্যার জন্য যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী, সেকথা তুলে ধরতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ২৬-এর ভোটে কি প্রার্থী তৃণমূলের ‘সেনাপতি’! নভেম্বরের গোড়াতেই রাস্তায় নামছে শাসকদল
সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ধরনের কনটেন্টে জোর দিতে হবে, সেদিনের বৈঠকে তাও তুলে ধরা হয়। বলা হয়, বন্যা, ধর্ষণ, চাকরি চুরি-সবকিছুতে মুখ্যমন্ত্রী অন্যদের দোষারোপ করেন। অথচ তিনি ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায়। পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে তৃণমূলকে হারানোর ডাক দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে হবে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, ছাব্বিশের নির্বাচন যে অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠার নির্বাচন, সেকথা তুলে ধরতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ধরনের কনটেন্ট ও স্লোগান তৈরিতে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ওই বৈঠকের পর এবার সারা রাজ্যের সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে বৈঠক করবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব। আগামী সপ্তাহে সায়েন্স সিটিতে হবে বিজেপির ওই কর্মশালা। সেখানে আরও কী বার্তা দেওয়া হয়, সেটাই দেখার। এদিকে, তৃণমূলও অভিষেকের ‘আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা’ কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ফলে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক লড়াই বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।





