হোটেলের আড়ালে উদ্দাম যৌনতা। মধুচক্রের আসরে চলত দেদার মদ্যপান। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন মাঠ সংলগ্ন লজে জোর উত্তেজনা। ভাঙচুর করে তালা লাগাল স্থানীয়রা।
আরও পড়ুনঃ পাণ্ডবরা লুকিয়ে রেখেছিলেন নিজেদের অস্ত্র গাছের কোটরে! “সমী বৃক্ষ”; এই বাংলাতেই
বৃহস্পতিবার ওই লজে এক যুগলকে ঢুকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাদের হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এরপরই উত্তেজিত জনতা মেজাজ হারায়। লজে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। শুরু হয় ব্যাপক ভাঙচুর। খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই যুগলকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সূরজ সিং বলেন, “লজে দীর্ঘদিন ধরে মধুচক্রের আসর বসত। জোরে জোরে গান বাজিয়ে বসত মদ্যপানের আসর। বারবার অভিযোগ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেউ কর্ণপাত করেনি। লজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। আর আমরাও কাউকে হাতেনাতে ধরতে পারিনি। তাই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার হাতেনাতে ধরে ফেলা হয় যুগলকে। তারপরই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।”
কেউ কেউ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বারবার স্থানীয়দের অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও পুলিশ অন্যায় রুখতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেই দাবি তাঁদের। এই ঘটনার পর থেকে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। যাতে আর নতুন করে লজ ভাঙচুরের মতো কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাই এলাকায় বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, “২ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এখনও পর্যন্ত লজ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পুলিশ স্থানীয়দের পাশাপাশি লজ মালিকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে।


                                    


