২০২৫ সালে দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো বাংলা কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হবে। তিথি অনুসারে যদিও চারদিন ধরে (ষষ্ঠী থেকে দশমী) পুজো চলে, কিন্তু নবমীর দিনই প্রধান আরাধনা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ নভেম্বরেই এসআইআর? SIR নিয়ে বড় নির্দেশ!
২০২৫ সালে জগদ্ধাত্রী পুজোর তারিখ ও তিথি
ষষ্ঠী – ৯ কার্তিক, ২৭ অক্টোবর, সোমবার
সপ্তমী – ১০ কার্তিক, ২৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার
অষ্টমী – ১১ কার্তিক, ২৯ অক্টোবর, বুধবার
নবমী (প্রধান পুজো) – ১২ কার্তিক, ৩০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার
দশমী – ১৩ কার্তিক, ৩১ অক্টোবর, শুক্রবার
নবমী তিথি আরম্ভ: ৩০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০:০৬ মিনিট থেকে।
নবমী তিথি সমাপ্ত: ৩১ অক্টোবর, শুক্রবার, সকাল ১০:০৩ মিনিট পর্যন্ত।
জগদ্ধাত্রী পুজোর পৌরাণিক কাহিনি
পুরাণ অনুসারে, দেবী দুর্গা যখন মহিষাসুরকে বধ করে বিজয়ী হলেন, তখন দেবতারা নিজেদের শক্তিতে অত্যধিক গর্বিত ও অহংকারী হয়ে উঠলেন। তাঁরা ভাবতে শুরু করলেন যে মহিষাসুর বধের কৃতিত্ব আসলে তাঁদেরই সম্মিলিত শক্তির, দেবী দুর্গার নয়।
আরও পড়ুনঃ Kali Puja 2025: ব্যাপক হইচই; আমেরিকান মদ কোম্পানি তাদের বিয়ারের নাম রেখেছিল মা কালীর নামে!
দেবতাদের এই মিথ্যা অহংকার দূর করার জন্য দেবী দুর্গা এক তেজঃপুঞ্জ রূপে তাঁদের সামনে আবির্ভূতা হন।
দেবতাদের অহংকার নাশ
দেবী তাঁদের শক্তি পরীক্ষার জন্য একটি তৃণখণ্ড ছুড়ে দেন এবং দেবতাদের কাছে জানতে চান, তাঁদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে এই সামান্য তৃণখণ্ডকে সরাতে পারেন কি না। কিন্তু অগ্নিদেব তাঁর দহন ক্ষমতা দিয়ে সেই তৃণকে পোড়াতে পারলেন না, বায়ুদেব তাঁর ক্ষমতা দিয়ে তাকে উড়িয়ে দিতে পারলেন না, দেবরাজ ইন্দ্রও তাঁর বজ্র দিয়ে তাকে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হলেন। তখন দেবতারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জায় মাথা নত করেন। সেই মুহূর্তে দেবী জগদ্ধাত্রী রূপে আবির্ভূতা হন এবং দেবতাদের বুঝিয়ে দেন যে, এই জগতের সমস্ত শক্তির উৎস তিনিই।
করিন্দ্রাসুর বধের কাহিনি
অন্য এক কাহিনি অনুসারে, করিন্দ্রাসুর নামে এক অসুর, যে হাতির রূপ ধারণ করেছিল (ঐরাবতের শাপে), তাকে বধ করার জন্য দেবী জগদ্ধাত্রীর আবির্ভাব হয়। দেবী সিংহের ওপর বসে সেই হস্তীরূপী অসুরকে সংহার করেন। এই কারণে দেবী জগদ্ধাত্রীর মূর্তিতে সিংহের নিচে হাতির মুণ্ড দেখা যায়।





