কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
তামিলনাড়ুর ইয়েলাগিরির প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে একসময় ছিল না রাস্তা, স্কুল বা সুযোগের আলো—সেখান থেকেই উঠে এসেছেন এক অনন্য নারী, ২৩ বছর বয়সী আদিবাসী তরুণী ভি. শ্রীপতি।
আরও পড়ুনঃ হু হু করে আগুন; শিলিগুড়ির নার্সিং হোমে আগুন, মৃত্যু ১
পুলিউর গ্রামের মাটিতে জন্ম নেওয়া শ্রীপতির বাবা ছিলেন কৃষক, আর মা সংসারের ভার কাঁধে তুলে নিয়ে মেয়েদের পড়াশোনার পথ প্রশস্ত করেছিলেন। পরিবার পরে উন্নত জীবনের খোঁজে চলে আসে আথানাভুরে, কিন্তু শ্রীপতির চোখে তখনও জ্বলজ্বল করছিল স্বপ্নের আলো।
নিজের অধ্যবসায় আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে শ্রীপতি ভর্তি হন ড. আম্বেদকর সরকারি আইন কলেজে, যেখানে তিনি আইন পড়া শুরু করেন। বিয়ের পরেও থেমে যাননি—শ্বশুরবাড়ির দায়িত্ব সামলিয়েও তিনি পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন একাগ্রতায়।
আরও পড়ুনঃ ‘শব্দবাজি থামাতে লাঠিপেটা’! কোচবিহারের এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দিল নবান্ন
২০২৩ সালের নভেম্বরে, মেয়ের জন্মের মাত্র দুই দিন পর, ২৫০ কিলোমিটার দূর চেন্নাইয়ে গিয়ে তিনি সিভিল জজ পরীক্ষা দেন—এবং সফল হন। সেই দিন থেকেই ইতিহাস তৈরি হয়, কারণ তিনিই হলেন তাঁর সম্প্রদায়ের প্রথম মহিলা সিভিল জজ।
শ্রীপতির এই অর্জন কেবল ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং পাহাড়ের প্রতিটি কন্যার জন্য এক আলোকবর্তিকা—যে দেখিয়ে দেয়, অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম যেকোনও বাধা ভেদ করতে পারে।
আজ, যখন নারীরা প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেদের ছাপ রেখে চলেছেন, শ্রীপতির গল্প হয়ে উঠেছে প্রতিটি মা, প্রতিটি ছাত্রী, আর প্রতিটি স্বপ্নবাজ মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক।


                                    


