পশ্চিমবঙ্গে এখনও বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) শুরুর ঘোষণা করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন । তার আগে রাজনৈতিক চাপানউতোর বেড়েছে। আবার শাসকদলের একাধিক নেতাকে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) হুঁশিয়ারি দিতেও শোনা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিএলও-দের স্বস্তি দিতে কড়া পদক্ষেপ করছে নির্বাচন কমিশন। বিএলও-দের অন্য কাজ করতে হবে না। এই শর্ত প্রযোজ্য থাকবে শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও। এই মর্মে নোটিস জারি করতে চলেছে কমিশন।
আরও পড়ুনঃ ‘আজ কি রাত’ খ্যাত সঙ্গীত পরিচালক বিপাকে; যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার
ইতিমধ্য়ে অনেক বিএলও-ই কাজ না করতে চেয়ে আবেদন করেছেন। সেখানে তাঁরা জানিয়েছেন, একসঙ্গে দুটো কাজ কী করে সম্ভব। আবার একাধিক তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিএলও-দের হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিএলও-দের সঙ্গে গ্রামে গ্রামে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। বিএলও-দের গতিবিধির উপর নজর রাখতে বলছেন। এমনকি, নাম বাদ গেলে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্যও কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা।
এই আবহে বিএলও-দের স্বস্তি দিয়ে একাধিক পদক্ষেপ করছে কমিশন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এসআইআর শুরু হলে যাবতীয় ক্ষমতায় থাকবে কমিশনের হাতে। ফলে এসআইআরের সঙ্গে যুক্ত কোনও কর্মী-আধিকারিককে বদলি করা যাবে না। SIR চলাকালীন অন্য কোনও কাজ বিএলও-দের করতে হবে না। শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে। খুব শীঘ্রই এই মর্মে নোটিস জারি হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুনঃ খাস কলকাতায় হোটেলের বক্স খাট থেকে মিলল যুবকের দেহ, ঘটনাস্থলে পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ
এদিকে, দিল্লিতে সব রাজ্য়ের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (CEO) সঙ্গে ২ দিনের বৈঠকের পর কমিশনের অফিসে তৎপরতা তুঙ্গে। কমিশন সূত্রে খবর, বৈঠকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যে কোনও দিন এসআইআর শুরু হতে পারে।
এদিকে, বাংলায় এসআইআর নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “২০২১ সালে বিজেপি বিধানসভায় ৭৭টি আসন পেয়েছিল। SIR হলে এবার ২৭ পেরবো না। SIR হলে সবচেয়ে বেশি নাম বাদ যাবে বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলির এসসি, এসটি, তফসিলি ও মতুয়াদের। অসমে আমরা ঘর পোড়া গরু দেখেছি, তাই সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পাই। অসমে হিন্দু বাঙালিদের যে অবর্ণনীয় অত্যাচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, বাংলাতেও একই কাজ করতে চলেছে। সেটা বুঝতে পেরেছে বলেই আজকে মতুয়ারা পর্যন্ত বিক্ষোভে সামিল হয়েছে।” বিজেপির আবার বক্তব্য, এসআইআর হলে ১ কোটি নাম বাদ যাবে। সেজন্যই বিরোধিতা করছে তৃণমূল।


                                    


