রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হলো অন্ধ্রপ্রদেশে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলেই আছড়ে পড়বে মান্থা। ইতিমধ্যেই প্রবল নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। রাজ্য জুড়ে জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। আগাম সতর্কতা হিসাবে ৬৫টিরও বেশি লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করল রেল। বাতিল করা হয়েছে ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সমস্ত ফ্লাইটও।
আরও পড়ুনঃ তান্ত্রিক মার্গে জগদ্ধাত্রীই হলেন সাধকের অভীষ্ট ব্রহ্মের স্বগুন রূপ! দেবী অখিল জগৎ রূপে বিরাজ করছেন
ইস্ট কোস্ট রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিশাখাপত্তনম- তিরুপতি, বিশাখাপত্তনম-চেন্নাই, বিশাখাপত্তনম- কিরণদুল, বিশাখাপত্তনম-কোরাপুট রুটে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ওডিশা এবং অন্ধ্র করিডরের বেশ কিছু ট্রেনও বন্ধ রাখা হচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিষেবা চালু করা হবে না বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাহত হচ্ছে বিমান চলাচলও। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৮ অক্টোবরের সমস্ত ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে ফ্লাইটের স্ট্যাটাস দেখে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশা উপকূলের সব স্কুলও। মৎস্যজীবীদের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ শহরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া, জগদ্ধাত্রী পুজোয় ফের দুর্যোগ
অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল অঞ্চল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে চন্দ্রবাবু নাইডুর সরকার। মোতায়েন রয়েছে NDRF এবং SDRF। রাজ্য জুড়ে ৪০০টি অস্থায়ী শিবির খোলা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির উপর নজর রাখছে আবহাওয়া দপ্তর। পরিস্থিতি সামলাতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে মছলিপত্তনম থেকে কলিঙ্গপত্তনমের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় মান্থা। সেই সময়ে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌছতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে ওডিশাতেও। ইতিমধ্যেই ওডিশা উপকূলের ৮টি জেলার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তেলেঙ্গানা এবং চেন্নাইয়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।





