Wednesday, 5 November, 2025
5 November
Homeআন্তর্জাতিক নিউজIran: ভয়াবহ সংকটে ইরান! তেহরানে পানীয় জলের ভাণ্ডার ফুরোবে দু’সপ্তাহেই

Iran: ভয়াবহ সংকটে ইরান! তেহরানে পানীয় জলের ভাণ্ডার ফুরোবে দু’সপ্তাহেই

আচমকাই তীব্র জলসংকটের মুখে ইরানের রাজধানী তেহরান।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

এর আগে নজর ছিল কাবুলের দিকে। বলা হচ্ছিল, ২০৩০ সালের মধ্যেই নাকি জলশূন্য হবে আফগানিস্তান। কিন্তু এবার আচমকাই তীব্র জলসংকটের মুখে ইরানের রাজধানী তেহরান। কিন্তু কেন? আসলে আমির কবীর বাঁধ দ্রুত শুকিয়ে আসছে। আর তার জেরেই এই পরিস্থিতি।

আরও পড়ুনঃ মহাকাশে নয়, বরং মহাকাশযানের ‘শ্মশান’ পৃথিবীর বুকেই! ‘পয়েন্ট নিমো’

উল্লেখ্য, আমির কবীর বাঁধ তেহরানের জলের পাঁচটি উৎসের মধ্যে একটি তথা প্রধান। যা মোট জলের ৮ শতাংশ। সব মিলিয়ে ১৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার জল আর রয়েছে তাতে। অর্থাৎ ১ কোটি ৪০ লক্ষ ঘনমিটার। প্রসঙ্গত, তেহরানে দৈনিক জলের প্রয়োজনীয়তা ৩০ লক্ষ ঘনমিটার। যার সিংহভাগই এই জলাধার থেকেই আসে। আপাতত যা পরিস্থিতি, বড়জোর ২ সপ্তাহের জল আর জোগাতে পারবে ওই জলাধার।

আসলে এক বছর আগেও আমির কবীর বাঁধে জল ছিল ৮ কোটি ৬০ লক্ষ ঘনমিটার। কিন্তু গত কয়েক মাস বৃষ্টির দেখা নেই তেহরান ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। এই বিপুল বৃষ্টিহীনতার কারণেই এবার তৈরি হয়েছে খরা পরিস্থিতি। গত কয়েক দশকে এত খারাপ পরিস্থিতি হয়নি এই অঞ্চলে।

আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ির বাজারে দাম বাড়ছে সবজি-ফুলের; নাভিশ্বাস মানুষের, উধাও টাস্ক ফোর্স

১ কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করে এই মেগাসিটিতে। প্রায়শই তুষারাবৃত থাকা আলবোর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালের বিপরীতে অবস্থিত, যা ৫,৬০০ মিটার পর্যন্ত উঁচু। এবং এর নদীগুলি একাধিক জলাধারকে জল সরবরাহ করে। তেহরানে জল সরবরাহকারী সংস্থা প্রধান বেহজাদ পারসা জানিয়েছেন, তেহরানে বৃষ্টি না হওয়ার পরিমাণ ১০০ শতাংশ। ফলে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। কিন্তু কবীর বাঁধ শুকিয়ে গেলেও বাকি উৎসগুলির কী হবে তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি পারসা।

উল্লেখ্য, জুলাই এবং আগস্ট মাসে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। কোথাও কোথাও তা ছিল ৫০ ডিগ্রিরও বেশি। এদিকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্নতা হয়ে উঠেছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এর মধ্যেই জল এবং শক্তি সাশ্রয়ের জন্য দুটি সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন