কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে হয় দীপাবলি আর পূর্ণিমা তিথিতে দেব দীপাবলি। এই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তিথিতে রাস উৎসব হয় আর গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষ্যেও নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এবার দেব দীপাবলি উপলক্ষ্যে একুশশো প্রদীপের আলোয় সেজে উঠবে শিলিগুড়ির লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাট। লক্ষ প্রদীপের আলোয় সেজে ওঠা বারাণসীর গঙ্গার ঘাটের আবহ তৈরির উদ্যোগ চলছে এই শহরে। এদিন নিরঞ্জন ঘাটে এছাড়াও থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিহারি সেবা সমিতি গত পাঁচ বছর ধরে এই নয়া আয়োজন করে আসছে।
আরও পড়ুনঃ রোম্যান্সের পিচে চুমুর ‘দুরন্ত ব্যাটিং’ হার্দিকের; মাহিকার সঙ্গে জলকেলি
গত বছর শিলিগুড়িতে দেব দীপাবলির আলোকমালা দেখতে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন মহানন্দার ঘাটে। প্রদীপ জ্বালানো থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা গিয়েছিল সকলকে। গতবারের জনপ্রিয়তা দেখে এবার আরও এই অনুষ্ঠানের আড়ম্বরের বহর অনেকটাই বেড়েছে। গঙ্গা আরতি থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সংস্কৃতি তুলে ধরে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে কচিকাঁচারা।
আজ ৫ নভেম্বর বিকেল চারটা থেকে মহানন্দার ঘাটে শুরু হয়েছে এই দেব দীপাবলি সমারোহ। ইতিমধ্যেই জোরকদমে এই উৎসবের তোড়জোড় শুরু করেছেন উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুনঃ ফিরছেন শান্তা! ‘অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর’ হয়ে, বিনা পারিশ্রমিকেই দায়িত্ব পালন
দেব দীপাবলিতে বারাণসী যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও সময় ও শারীরিক কারণে অনেকেই সেখানে যেতে পারেন না। সেই আক্ষেপ এখন শহরের অনেকেরই মিটছে বিহারি সেবা সমিতির এই আয়োজনে। এই সমারোহে মহানন্দা বাঁচানোর বার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে। সমিতির সম্পাদক মণীশ বারি বলেন, ‘উৎসবে আনন্দের পাশাপাশি মহানন্দা দূষণ কেউ যাতে না করেন সেজন্য সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হবে। এছাড়াও নদীতে যাতে কেউ প্রদীপ, ফুল না ফেলেন সেদিকেও লক্ষ রাখা হচ্ছে। এই উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে যাঁরা আসবেন তাঁদের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে ঘাটে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য।’
শহরের এই সমারোহের আয়োজনের জন্য কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের কাছ থেকে মাটির প্রদীপ কেনা হয়েছে। বিকেল পাঁচটায় এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন মেয়র গৌতম দেব। ঢাকের তালে প্রদীপের আলোতে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ঘাট চত্বর। চলতি বছর উদ্যোক্তাদের তরফে কিন্নর সমাজের মানুষের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মানুষদেরও এই উৎসবে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, শহরবাসীর পাশাপাশি পর্যটকরাও এই উৎসবে আনন্দ করতে আসেন।





