Tuesday, 4 November, 2025
4 November
Homeদক্ষিণবঙ্গChandannagar: জারি নির্দেশিকা! চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোয় এবার একদিন পর বিসর্জনের শোভাযাত্রা

Chandannagar: জারি নির্দেশিকা! চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোয় এবার একদিন পর বিসর্জনের শোভাযাত্রা

শোভাযাত্রা নিয়েও একাধিক কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম শোভাযাত্রায় ডিজে বক্স বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে সেজে উঠছে চন্দননগর। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এই অবস্থায় আজ, শুক্রবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় একাধিক নির্দেশিকা জারি করল চন্দননগর সেন্ট্রাল কমিটি। শোভাযাত্রা নিয়েও একাধিক কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম শোভাযাত্রায় ডিজে বক্স বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় কোনওরকম আতশবাজিও পোড়ানো যাবে না। চন্দননগরে পুজো দেখতে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী, ভক্তদের সমাগম হয়। তাঁদের কথা চিন্তা করে বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দশমীর দিন প্রতিবার বিসর্জনের শোভাযাত্রা হয়। এবার বিসর্জনের শোভাযাত্রা একদিন পরে। উল্লেখ্য, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল ৭০ বছর আগে।

আরও পড়ুনঃ ‘ভক্তের ভক্তি’, ভক্তদের ভিড়ে পুষ্পসজ্জা-সহ বিসর্জন নৈহাটির বড়মার

চন্দননগর সেন্ট্রাল কমিটির তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হয় এদিন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান নিমাইচন্দ্র দাস, সভাপতি শ্যামলকুমার ঘোষ, সম্পাদক শুভজিৎ সাউ, যুগ্ম সম্পাদক অমিত পাল ও দেবব্রত বিশ্বাস, কার্যকরী সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য, ওমপ্রকাশ চৌধুরী, মানব দাস-সহ অন্যান্যরা। ওই বৈঠকেই এবার একাধিক নির্দেশিকার কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বাজানো যাবে না কোনও ডিজে বক্স। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় কোনও আতশবাজিও পোড়ানো যাবে না। সেই সঙ্গেই প্লাস্টিকের ব্যবহারও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দূষণ রুখতে প্রতিমায় সিসামুক্ত রং ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি মণ্ডপের ভিতর থাকবে সিসিটিভি। এদিন  কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপও প্রকাশ করা হয়।

কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ জানিয়েছেন, নিরঞ্জনের সময় প্রতিটি পুজো কমিটিকে প্রতিমার গাড়িতে বাধ্যতামূলকভাবে অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার রাখতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে কোনওরকম নোংরা আবর্জনা ফেলা যাবে না। শোভাযাত্রায় যে সমস্ত গাড়ি অংশ নেয়, সেই গাড়ির চালকের সামনে আগে ইলেকট্রিক বোর্ড রাখা হত। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকত। এবার সেভাবে আলোকসজ্জাও করা যাবে না। চালকের সামনের জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ দেবী হৈমন্তিকার জন্ম হল কৃষ্ণনগরে, দাপট চন্দননগরে! কিন্তু কেন?

আগামী ২৭ অক্টোবর ষষ্ঠী। সেদিন থেকেই গঙ্গাপাড়ের ওই প্রাচীন শহরে শুরু হচ্ছে জগদ্ধাত্রীর আরাধনা। ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জগদ্ধাত্রী শোভাযাত্রা। নিয়ম অনুযায়ী, চন্দননগরের চারদিনের জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। এবার ৩১ অক্টোবর দশমী। প্রতিমা বিসর্জন হয় দশমীর দিন। কিন্তু এবার সেটি একদিন বেড়েছে। চন্দননগর, মানকুণ্ডু এবং ভদ্রেশ্বর এলাকায় প্রতিমা দেখার জন্য প্রচুর মানুষ হাজির হন প্রতিবছর। গত বছর চন্দননগর কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে ১৭৭টি পুজো কমিটি ছিল। এবার আরও তিনটি বারোয়ারি পুজো তালিকায় যুক্ত হয়েছে। চন্দননগর থানা এলাকায় রয়েছে ১৩৩টি ও ভদ্রেশ্বর থানা এলাকায় রয়েছে ৪৭টি পুজো।

শোভাযাত্রাতেও প্রতি বছরের মতো এবছর থাকবে অনেক চমক। এবছর মোট ৭০টি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করবে জগদ্ধাত্রী শোভাযাত্রায়। তার মধ্যে চন্দননগরের ৫৬টি ও ভদ্রেশ্বর থানা এলাকার ১৪টি পুজো কমিটি থাকছে। মোট লরি থাকবে ২৪৫টি। জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিরঞ্জন হবে রানিঘাট-সহ চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের মোট ১৪টি গঙ্গার ঘাটে। শোভাযাত্রার রুটে চারটি জোন ভাগ করা হয়েছে। সব জায়গায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং কড়া পুলিশি ব্যবস্থাও থাকবে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন