কুশল দাশগুপ্ত:
১৪৪ বছর পরে আসা মহাকুম্ভে এবার দার্জিলিং জেলা সমতলের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পাপিয়া ঘোষ ও। স্নান করে তিনি জানালেন, আমি নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান বলে মনে করছি, আমি স্নান করতে পারলাম। আজ মানুষের এই ভিড়ে, আমি নিজে একজন পূর্ণ মানুষ হিসাবে দেখতে পেলাম নিজেকে।
আরও পড়ুন: North Bengal: দক্ষিণে বাঘ, উত্তরে বুনো হাতি! গেট ভেঙে ঢুকে পড়ল ডুয়ার্সের রিসর্টে
এত লোকের মধ্য আমি? ভাবতেই একটা আলাদা শিহরণ যাচ্ছে আমার মধ্যে। কতখানি সৌভাগ্যবান হলে এ জায়গায় এসে স্নান করতে পারা যায়, আজকে আমি সেটা অনুভব করলাম। আর এ তো মানুষের মেলা, কত মানুষ, কতভাবে এখানে এসে পৌছাবার জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন এটাই বা কত বড় ব্যাপার। মহাকুম্ভ ভাবলে মনের মধ্যে একটা আলাদা শিহরণ জেগে যায়। বহুদিনের ইচ্ছা ছিল আশা ছিল আকাঙ্ক্ষা ছিল, মহাকুম্ভেস্নান করার এটা পূরণ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি আমি। আমরা এই যে এমন একজনকে পেলাম যিনি আমাদের গর্বিত করলেন, আমরা উত্তর বঙ্গবাসীরা গর্ববোধ করলাম । এই পবিত্র স্নান হয়তো আমার জীবনকে আরো উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে, আরো পরিবর্তন আনবে আমার জীবনে। এখানে স্নান করে প্রার্থনা করে নিজেকে একটা আলাদা পরিচয় দিতে পেরে আমি খুশি, জানালেন জেলা সভাপতি। অবশ্য এটাও ঠিক, সবার আশীর্বাদ এবং ভালবাসা না পেলে এই জায়গা আমি আসতে পারতাম না, জানালেন জেলা সভাপতি।
মহাকুম্ভে স্নান করলাম, গুণ ১৪৪ বছর পর আসলো। তাই আমার আদর্শ আজকে আমাকে সহজ ভাবে সহজ জায়গায় এনে দিল। জেলা সভাপতি আরো জানালেন, মানুষের মেলাতে আমি ভেসে গেলাম, আজকের এই স্নান হয়তো ভবিষ্যতে আমাকে আলাদা রাস্তা দেখাবে। অনেকটা শক্তি নিয়ে যাচ্ছি আমি এখান থেকে, শুধু শক্তি নয় আলো, এক নতুন অধ্যায় হয়তো আমি তৈরি করতে পারব এতোটুকু আত্মবিশ্বাস আমার কাছে আছে।, “মহাকুম্ভ”এতদিন আমি টিভিতে দেখেছি খবরের কাগজে পড়েছি, এবার আমি স্বয়ং ওখানে তাই একটা আলাদা অনুভূতি তো থেকে গেল। যেটা আমার কাছে ভগবানের সবথেকে বড় আশীর্বাদ জানালেন জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ।