নিরাপত্তারক্ষীদের কড়া নজরদারি। তার মধ্যেও সবার নজর এড়িয়ে নবান্নের চোদ্দ তলায় পৌঁছে গেলেন এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। এই ১৪ তলাতেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। সবার নজর এড়িয়ে ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে চোদ্দ তলায় পৌঁছে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে নবান্নে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বদল হল পোস্টার! মিছিলের ঠিক আগেই নতুন বিতর্ক
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ১৪ তলায় এক মহিলাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। নিরাপত্তার জন্য নবান্নের চোদ্দ তলায় কর্মীদেরও গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেখানে ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে পৌঁছে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রের খবর, নর্থ গেট দিয়ে ওই মহিলা নবান্নে ঢোকেন। নর্থ গেট দিয়ে অনেক সময়ই সিভিক ভলান্টিয়াররা জল নিতে ভেতরে ঢোকেন। ওই মহিলাও তেমনই জল নিতে ভেতরে ঢুকছেন বলে মনে করেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
আরও পড়ুনঃ বাঙালির রসনাতেও হাত! ফতোয়া চলবে না এরাজ্যে
নবান্নের ভেতরে ঢোকার পর লিফটে চড়ে ১৩ তলায় পৌঁছে যান তিনি। তারপর সিঁড়ি দিয়ে চোদ্দ তলায় ওঠেন। ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে তাঁকে ঘোরাফেরা করতে দেখে নিরাপত্তারক্ষীরা প্রশ্ন করেন। মহিলা জানান, তিনি তমলুক থেকে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। তাঁর পরনে সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক ছিল। তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন ঠেকায় তাঁকে আটক করে পুলিশ। কীভাবে তিনি একেবারে চোদ্দ তলায় পৌঁছে গেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।