নবজাতকের পেটের ভিতরে বড় হচ্ছে আর একটি শিশু! ‘বিরল এবং অস্বাভাবিক’ ঘটনা ঘটল কর্নাটকে।
আরও পড়ুনঃ ‘মনগড়া গল্প বলছে পাকিস্তান’; বিস্ফোরক বায়ুসেনা প্রধান
গত ২৩ সেপ্টেম্বর কর্নাটকের হুব্বালির কেআইএমসি-তে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন এক মহিলা। মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ আছেন। তবে পরে শিশুটির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছে চিকিৎসকদের। দেখা যায়, নবজাতকের পেটের ভিতরে আর একটি প্রাণ বড় হচ্ছে! চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে ‘ফেটাস ইন ফেটু’ (ফিফ) বলে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, প্রতি পাঁচ লক্ষ ভূমিষ্ঠ সন্তানের মধ্যে একটি ক্ষেত্রে এমন অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। মায়ের গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের ভিতরে আর একটি প্রাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর কর্নাটক ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে জন্মানো শিশুটির শরীরেও সেই বিরল ঘটনার প্রমাণ মিলেছে।
এখন মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ। কিন্তু আল্ট্রাসাউন্ডে নবজাতকের পেটের মধ্যে আর একটি প্রাণের আভাস মেলার পর চিন্তায় সকলে। যমজের মেরুদণ্ড এবং খুলির হাড়ের মতো প্রাথমিক কাঠামো ক্রমে বিকশিত হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ওই শিশুটি স্বাভাবিক ভাবে বড় হতে পারবে না। আদতে নবজাতকের শরীরের ভিতরে প্রাণটি একটি পরজীবী। বিরল ‘জার্ম সেল টিউমার।’ তার দাঁত, চুল, হাড় বা পেশিতে অপরিণত বা সম্পূর্ণ ভাবে টিস্যু গঠিত হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ১৯ মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক! ভিডিও বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার স্বামীর!
এখন নবজাতকের সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনের স্বার্থে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করতেই হবে। শিশুর বাবা-মায়ের সম্মতিতে ‘পরজীবী’ যমজকে শিশুটির শরীর থেকে বাদ দিতে হবে। অপারেশন কঠিন। তবে নবজাতকের জীবনের স্বার্থে তা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, গর্ভস্থ ভ্রূণ বা ‘ফেটু’ একটি বিরল জন্মগত অবস্থা। সেখানে এক যমজের শরীরের মধ্যে আর এক যমজ বড় হতে থাকে।
সাধারণত, শিশুর পেটে একটি পিণ্ডের আকারে একে দেখা যায়। ক্রমশ তা বড় হতে থাকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মহারাষ্ট্রের বুলঢাণায় এক মহিলা পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। সেই শিশুটির পেটের মধ্যেও আর একটি ভ্রূণ বড় হচ্ছিল। পরে অমরাবতীর একটি হাসপাতালে শিশুটির শরীরে অস্ত্রোপচার হয়।