কম বাজেটের দুর্গাপুজোর তালিকায় ডামডিম যুব নাট্য সংস্থা বরাবর শীর্ষে থাকে। মাল ব্লকের গ্রামীণ এলাকার অন্যতম প্রধান পুজো এটি। এবছর তাদের পুজো ৩৩তম বর্ষে পা দিল। অনবরত বৃষ্টির কারণে ডামডিম বাজার এলাকায় প্যান্ডেল নির্মাণ ধীরগতিতে চলছে। এবছর জমিদার বাড়ির আদলে তাদের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। মালবাজারের শিল্পী লক্ষ্মণ পাল প্রতিমা তৈরি করছেন। প্রতি বছরের মতো মায়ের প্রতিমা হবে চোখধাঁধানো। পুজোর বাজেট ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। ওদলাবাড়ির স্থানীয় শিল্পীরা আলোকসজ্জার দায়িত্বে আছেন। পুজো কমিটির সম্পাদক রজত ঘোষ বলেন, ‘অষ্টমীতে ভোগ বিতরণের জন্য মাইকিং করে পুজোমণ্ডপে সকলকে ডাকা হয়।’
পুরোনো রীতি মেনে পঞ্চমীর সন্ধ্যায় মণ্ডপে প্রতিমা আনা হয়। মহিলারা লালপাড় শাড়ি পরে হাতে প্রদীপ নিয়ে মা দুর্গাকে বরণ করে মণ্ডপে নিয়ে আসেন। ডামডিম পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা করে প্রতিমা আনা হয়। ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন, কল্পারম্ভ পুজো হয়। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত নিয়মনিষ্ঠা মেনে পুজো চলে। অষ্টমীর পুজোর পর ভাণ্ডারার ব্যবস্থা থাকে। ধর্মবর্ণনির্বিশেষে ভোগের খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ দেব রায়ের কথায়, ‘প্রতি বছর কম বাজেটের সেরা পুজোর তালিকায় যুব নাট্য সংস্থা টেক্কা দেয়।’
সপ্তমীর সন্ধ্যায় স্থানীয় দুঃস্থ মানুষদের যুব নাট্য সংস্থার তরফে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। বস্ত্র বিতরণ এখন তাদের পুজোর একটি অংশ হয়ে উঠেছে। পুজো উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ জোর দেওয়া হয়। কমিটির সদস্যরা মিলে সেই আয়োজন করেন। সপ্তমীর সকালে আঁকা ও কুইজ প্রতিযোগিতা হয়। বিকেলে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অষ্টমী ও নবমীর রাতে বহিরাগত শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকে।
আরও পড়ুনঃ দেবীপক্ষের তৃতীয়া, ব্যবসায় বাজিমাত এই চার রাশির
পুজো কমিটির সভাপতি সুশীলকুমার প্রসাদের বক্তব্য, ‘প্রথম থেকে এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত। ডামডিমের বাসিন্দাদের কাছে এই পুজো বড় আবেগের।’
ডামডিমের তরুণী রেশমিতা মজুমদার জানান, পাড়ার পুজোয় এই ক’টা দিন বেশ জমজমাট থাকে। দু’দিন বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান হবে।