তন্ত্র পুরাণে দেবী কালীর নানা রূপ। তোড়ল তন্ত্র অনুসারে কালী নয় প্রকার। দক্ষিণা কালী, কৃষ্ণ কালী, সিদ্ধ কালী, শ্রী কালী, ভদ্রকালী, চামুণ্ডা কালী, শ্মশান কালী, মহাকালী ও গুহ্য কালী।
মহাকাল সংহিতার অনুস্মৃতি প্রকরণেও নয় প্রকার কালীর উল্লেখ মেলে। সেখানেও গুহ্য কালী বা আকালীর স্বরূপ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভারতই ফার্স্ট বয়! নোকিয়া, এরিকসন, স্যামসং ও হুয়াওয়েকে টেক্কা ভারতের!
দেবী ভাগবত পুরাণ মতে, তিনি দেবী শতাক্ষীর শরীর থেকে উৎপন্না অন্যতম মহাশক্তি। কিছু সাধক এই রূপে কালীর আরাধনা করে থাকেন। তবে গৃহস্থের কাছে দেবীর এই রূপ অপ্রকাশ্য।
গুহ্যকালীর রূপ অতি ভয়ঙ্কর। দুই হাতে সাপ ও খড়্গ। গাত্রবর্ণ যেন গাঢ় মেঘ। কাঁধে ৫০টি নরমুণ্ডের মালা। কটিতে স্বল্প কৃষ্ণবস্ত্র। কাঁধে নাগবেষ্টিত উপবীত, মাথায় জটা ও অর্ধচন্দ্র, কানে শবদেহরূপী অলঙ্কার।
দেবীকে চতুর্দিকে ঘিরে রয়েছে নাগফণা। বামে শিব।
কথিত, তিনি নাকি শবমাংস ভক্ষণ করে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ ১৪ অক্টোবরে আর মিলবে না সাপোর্ট! জানাল মাইক্রোসফট
এই গুহ্যকালী প্রকৃত অর্থে অত্যন্ত উগ্ররূপী। আর সেই কারণেই গৃহস্থরা পুজো করতে পারেন না দেবীর।
পুরাণে বলা হয়, দারুক নামে অসুরকে বধ করেছিলেন এক দেবতা। তার পরে তিনি প্রবেশ করেন মহেশ্বরের শরীরে এবং নীলকণ্ঠ মহেশ্বরের গলার বিষের রঙে তিনি কালো রং ধারণ করেন।
তাই তিনি বিষধরী, উগ্রচণ্ডী। তাই সাধনা করাও খুব জটিল। জানা যায়, বামদেব এই দেবীর সাধনা করতেন। তবে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করা খুবই কঠিন।
বীরভূম জেলার আকালীপুর গ্রামে ব্রাহ্মণী নদীর তীরে শ্মশানের পাশে মহারাজা নন্দকুমার একটি গুহ্যকালীর মন্দির নির্মাণ করেন।