Tuesday, 4 November, 2025
4 November
HomeকলকাতাWest Bengal Forestry: বনসৃজন; বর্তমানে দেশের ও আমাদের রাজ্যের পরিস্থিতি

West Bengal Forestry: বনসৃজন; বর্তমানে দেশের ও আমাদের রাজ্যের পরিস্থিতি

শ্বাসযোগ্য বাতাসের সমতা হারাচ্ছে দ্রুত। এবং এর প্রভাবে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, বজ্রপাত, দাবানল ইত্যাদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.




শিবনাথ প্রধান, সাঁতরাগাছি, হাওড়াঃ

দেশের বনভূমি নিয়ে রেকর্ড যা বলছে 

ইন্ডিয়া স্টেট অফ ফরেস্ট রিপোর্ট (ISFR) এবং ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (FSI) এর রিপোর্ট বলছে সমগ্র দেশে ২০১৯ – ২০২১ সালে ২২৬১ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় সবুজায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ জুড়ে ৬৪৭ বর্গ কিলোমিটার, তেলেঙ্গানায় ৬৩২ বর্গ কিলোমিটার এবং ওড়িশায় ৫৩৭ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চল বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মোট বন ও বৃক্ষের  পরিমাণ ৮০.৯ মিলিয়ন হেক্টর, যা দেশের ভৌগলিক আয়তনের ২৪.২৬ শতাংশ। বর্তমান মূল্যায়ন অনুযায়ী দেশের ১৭ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ভৌগোলিক অঞ্চলের ৩৩ শতাংশের বেশি বনভূমি রয়েছে। 

অঞ্চল অনুযায়ী দেশের বৃহত্তম বনভূমি রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। এরপরের তালিকায় রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, ছত্রিশগড়, ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্র। মোট ভৌগোলিক এলাকার শতাংশ হিসেবে বনাঞ্চলের ক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচটি রাজ্য হচ্ছে, মিজোরাম (৮৪.৫৩ শতাংশ), অরুণাচল প্রদেশ (৭৯.৩৩ শতাংশ), মেঘালয় ( ৭৬.০০ শতাংশ), মনিপুর ( ৭৪.৩৪ শতাংশ) এবং নাগাল্যান্ড ( ৭৩.৯০ শতাংশ)।

আরও পড়ুনঃ আজ থেকেই বাড়ি বাড়ি শুরু SIR কাজ, আতঙ্কিত হওয়ার প্রশ্নই নেই

১৭ টি রাজ্য  ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভৌগলিক এলাকার ৩৩ শতাংশের বেশি বনভূমির আওতায় রয়েছে। এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যে রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ, মিজোরাম, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অরুণাচল প্রদেশ এবং মেঘালয়। অন্যদিকে পাঁচটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৭৫ শতাংশের বেশি বনভূমি রয়েছে। এছাড়াও মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, গোয়া, কেরালা, সিকিম, উত্তরাখান্ড, ছত্রিশগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ, আসাম, ওড়িশায় বনভূমি রয়েছে ৩৩ থেকে ৭৫ শতাংশের মতো।

দিল্লিতে হয়েছে দেশের সবচেয়ে বেশি বনভূমি সৃজন, ১৯৪.২৪ বর্গ কিলোমিটার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বাই। যার বনভূমির সৃজন ১১০.৭৭ বর্গ কিলোমিটার। ‌তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্যাঙ্গালোর, ৮৯.০২ বর্গ কিলোমিটার বনভূমি  সৃজন আইটি রাজধানীতে। চতুর্থত হায়দ্রাবাদ, রয়েছে ৪৮.৬৫ বর্গ কিলোমিটার বনভূমি বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতা, পাটনা সহ পূর্ব ভারত ও চণ্ডীগড় জয়পুর, আমেদাবাদ সহ উত্তর পশ্চিম ও পশ্চিম ভারতের শহর গুলোতে বনভূমি হ্রাস পেয়েছে।

আরও পড়ুনঃ চারপুরুষের ঐতিহ্য! রাসচক্র গড়ছেন কোচবিহারের আমিনুল; রাসমেলা যে এসে গেল 

দেশের বনভূমি নিয়ে বাস্তবে কি অবস্থায় 

ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড এলাকা জুড়ে বেসরকারী মাইনস যা ওপেন মাইনসের কারনে হাজার হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় সবুজায়ন ধ্বংশ হচ্ছে। নগরায়নের নামে পূর্ণ বয়স্ক গাছ নিধনযোগ্য চলছে । ফলে শ্বাসযোগ্য বাতাসের সমতা হারাচ্ছে দ্রুত। এবং এর প্রভাবে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, বজ্রপাত, দাবানল ইত্যাদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

এবার আসি আমাদের রাজ্যের প্রসঙ্গে 

রাজ্যে মোট নথিভুক্ত বনভূমির পরিমাণ ১১৮৭৯ বর্গকিমি, যার মধ্যে ৭০৫৪ বর্গকিমি সংরক্ষিত, এইভাবে রাজ্যের ভৌগলিক এলাকার ২৭% বনভূমি (যা পূর্বের ১০ বছর আগের হিসাবে ৬% কম)। অর্থাৎ দিন দিন বনভূমির পরিমাণ কমছে ।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন