আবার জুম্মার নমাজের পর লাল পতাকা উড়ল জ়ামকারান মসজিদের চূড়ায়। শুক্রবার ইরানের ‘ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত কোম শহরের ওই মসজিদের (যা শিয়া ধর্মাবলম্বী ইরানের প্রধান মসজিদ হিসেবে পরিচিত) ওড়ানো হল লাল পতাকা।
অতীতে বিভিন্ন সময় তেহরানের শাসকবর্গ শত্রুদেশের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার আগেই সে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতৃত্বের বার্তায় জ়ামকারান মসজিদের চূড়ায় যুদ্ধের লাল নিশান ওড়ানো হয়েছে। এ বার ইজ়রায়েলি বিমানহানায় একাধিক সেনাকর্তা এবং পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের বার্তাতেই যুদ্ধের প্রতীক ওড়ানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব জুড়ে ব্যাহত বিমান পরিষেবা, বিপাকে এয়ার ইন্ডিয়াও
বুধবার সকালে ইজ়রায়েলি বিমানহানায় ইরান সেনার ‘চিফ অফ স্টাফ’ মেজর জেনারেল মহম্মদ বাগেরির পাশাপাশি ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড’ বাহিনীর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেন সালামি এবং ডেপুটি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ঘোলামালি রশিদ নিহত হন। মৃত্যু হয় রেভলিউশনারি গার্ড অ্যাকোস্পেস ফোর্সের (এই বাহিনীর হাতেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায়িত্ব রয়েছে) প্রধান মেজর জেনারেল আমির আলি হাজিজ়াদে এবং সে দেশের ছ’জন পরমাণু বিজ্ঞানীরও। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘ইরনা’ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রাক্তন প্রধান ফেরেউদুন আব্বাসি।
আরও পড়ুন: নির্মাণে গাফিলতি! এক বছর আগেই সতর্ক করেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার
তেল আভিভের ওই অতর্কিত হামলার পরেই লাল পতাকার প্রতিশোধ-বার্তা উড়েছে জামাকারান মসজিদে। ২০২০ সালে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রেভনিউশনারি গার্ড বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার পরেও জামাকারান মসজিদের চূড়ায় লাল পতাকা উড়িয়ে প্রতিশোধের বার্তা দেওয়া হয়েছিল। মরিয়া ইরান সে সময় পশ্চিম এশিয়ায় একের পর এক মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার বিকেলে আয়াতোল্লা ইরান সেনার ‘চিফ অফ স্টাফ’ পদে মেজর জেনারেল আবদুর রহিম মুসাভি এবং রেভলিউশনারি গার্ডের নতুন কমান্ডার হিসেবে মেজর জেনারেল মহম্মদ পাকপারকে নিযুক্ত করেছেন বলে সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।