বিধানসভায় সাসপেন্ড মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। আর তাই নিয়ে চরম হট্টগোল বিধানসভা অন্দরে। শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিধানসভার অন্দরেই চলে বিজেপির স্লোগান। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মার্শালের নেতৃত্বে বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা শঙ্কর ঘোষকে টেনে বার করার চেষ্টা করেন। বিধায়করা তা আটকানোর চেষ্টা করছেন। নিজের আসনেই অনড় রয়েছেন শঙ্কর। তা নিয়ে তুমুল ধস্তাধস্তি চলে বিধানসভা অন্দরে। তৃণমূল বিধায়করা নিজের আসনেই বসে সবটা দেখতে চান।
আরও পড়ুনঃ “একেবারেই একতরফা সিদ্ধান্ত”; বললেন শ্রাবণী
বৃহস্পতিবার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের হেনস্থার প্রতিবাদে বক্তৃতা রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বলার কথা ছিল। অগ্নিমিত্রা পালের নাম যখন ডাকা হয়েছিল, তিনি তখন অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না। তখন মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তৃতা রাখতে বলেন স্পিকার। কিন্তু এরই মধ্যে চলে আসেন অগ্নিমিত্রা। বিজেপি বিধায়করা চিৎকার করতে থাকেন, যাতে অগ্নিমিত্রাকে বলতে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীও তখন স্পিকারকে অনুরোধ করেন, যাতে অগ্নিমিত্রাকে বলতে দেন তিনি। স্পিকার সে অনুমতি দেন, কিন্তু অগ্নিমিত্রার বক্তৃতার সময় কমিয়ে দেন। নির্দিষ্ট সময় পর তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরই শঙ্কর ঘোষ স্লোগান শুরু করেন, কেন শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, আর সে বিষয়ে কেন দু’রকমের বক্তব্য রাখা হয়েছে। বারংবার স্পিকার তাঁকে সতর্ক করেন। শঙ্কর ঘোষ অনড় থাকেন।
এরপরই শঙ্কর ঘোষকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। কিন্তু তিনি নিজের আসনেই অনড় থাকেন। তাঁকে বিধায়করা ঘিরে রাখেন। তাঁকে সেসময় বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা বার করার চেষ্টা করেন, এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা অন্দরের পরিস্থিতি।