পাকিস্তান তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় শুধু এয়ার ইন্ডিয়ারই বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে। ওই ক্ষতি পাকিস্তানেরও। ভারতের সব বিমান সংস্থার হিসাব যোগ করলে পাকিস্তানের ক্ষতির পরিমাণ বছরে লক্ষ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তবে ভারত সরকার ও দেশি-বিদেশি বিমান সংস্থাগুলি এখন বিকল্প রুটের সন্ধানে বেশি ব্যস্ত। একটি প্রস্তাব হল চিন। ভারত লাগোয়া চিনের কিছু প্রদেশের উপর দিয়ে ইওরোপগামী বিমানগুলি চালানোর প্রস্তাব ভারত সরকারকে বিবেচনা করতে বলেছে এয়ার ইন্ডিয়া সহ বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা।
আরও পড়ুন: সুজিত বসু দিলেন ‘চাকরির অফার’; মাধ্যমিকে 8th হয়েছে অবন্তিকা
যদিও ওই চিনের ওই প্রদেশগুলি দুর্গম পাহাড়ি এলাকা। ঝড় বৃষ্টি, নিম্নচাপের সমস্যা লেগেই থাকে। পাইলটদের অনেকের ওই পথে বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। তার চাইতেও বড় কথা, বেজিংয়ের অনুমতি মিলবে কিনা। ভূকৌশলগত কারণে চিন অনুমতি দিতে ইতস্তত করতে পারে।
পহেলগামের হত্যাকাণ্ডে ভারত পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করার পর ইসলামাবাদ ভারতের অসামরিক বিমানের তাদের দেশের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয়। পরে নয়াদিল্লিও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে পাক বিমান সংস্থাগুলিও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।
পাকিস্তানের সিদ্ধান্ত জানার পর ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক বিমান সংস্থাগুলিকে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব কষতে বলেছিল। সুত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে এয়ার ইন্ডিয়া সরকারকে দেওয়া রিপোর্টে জানিয়েছে, তাদের ক্ষতির পরিমাণ ৬ হাজার কোটি।
আরও পড়ুন: “বাবা বাঙালি খাবার খেতে বেশি পছন্দ করতেন”-সন্দীপ রায়
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স (Reuters) জানিয়েছে, একাধিক বিমান সংস্থা বিকল্প রুট হিসাবে চিনের আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। গত এপ্রিলে দিল্লি এবং লাগোয়া বিমানবন্দরগুলি থেকে ১২০০ বিমান ইওরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন শহরের মধ্যে যাতায়াত করেছে। এত বিমানের বিকল্প পথ বের করাই এখন চ্যালেঞ্জ। একই কারণে সংকটে পড়েছে পাকিস্তান্ তার জের পড়েছে আর এক প্রতিবেশী বাংলাদেশের উপরও। চট্টগ্রাম-ঢাকা-ইসলামাবাদ বিমান পরিষেবা চালুর ভাবনা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ল। ওই বিমান পরিষেবা চালু করতে হলে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ হয়ে যেতে হবে।