বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে অ্যামাজন। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র মানবসম্পদ বিভাগ বা হিউম্যান রিসোর্স বিভাগ থেকেই ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে হঠাৎ দরজায় ধাক্কা! ‘কে ওখানে?’ ভূত চতুর্দশীর আগে লিখলেন বনি
পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগ থেকেও কর্মী ছাঁটাই করা হবে। তবে মোট কত শতাংশ কর্মীর চাকরি যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কয়েক মাস আগেই কিছু বিভাগে অল্প সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করেছিল অ্যামাজন। যার মধ্যে ছিল সংস্থার কনজিউমার ডিভাইস গ্রুপ, পডকাস্ট টিম, ওয়েব সার্ভিস টিম।
অ্যামাজন ক্রমশই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (AI) দিকে ঝুঁকছে। আর এই ছাঁটাইয়ের এটাই মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ক্লাউড অপারেশনে চলতি বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করবে অ্যামাজন। যার বেশিরভাগই সংস্থার অভ্যন্তরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও এন্টারপ্রাইজ ক্লায়েন্টের জন্য নেক্সট জেনারেশন ডেটা সেন্টার তৈরিতে ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুনঃ তুমুল বিক্ষোভ অসমে, পুলিশের গাড়িতে আগুন; জুবিনের মৃত্যুতে অভিযুক্তদের কনভয়ে হামলা
সংস্থার সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, এই নতুন যুগটি এআই দিয়েই পরিচালিত হবে। কর্মীদের সেই ভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। আর এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পারলে ছাঁটাই যে অবধারিত, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। পাশাপাশি এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এআইয়ের সঠিক ব্যবহার করতে জানলেই সংস্থায় টিকে যাবেন কর্মীরা।
উল্লেখ্য, বর্তমান সিইও দায়িত্বে আসার পরই অ্যামাজনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ছাঁটাই হয়েছে। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ২৭ হাজার ছাঁটাই করা হয়েছে। মূলত কোভিডকালে যে বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদেরই ছাঁটাই করা হয়েছিল।