Wednesday, 18 June, 2025
18 June, 2025
Homeরাজ্যNabanna: একগুচ্ছ নির্দেশ! অস্থির পরিস্থিতিতে নবান্নের তরফে বড় বার্তা

Nabanna: একগুচ্ছ নির্দেশ! অস্থির পরিস্থিতিতে নবান্নের তরফে বড় বার্তা

উল্লেখ্য, রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের জন্যও একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

ভারত-পাকিস্তানে সীমান্তে সংর্ঘর্ষবিরতি শুরু হয়েছে শনিবার বিকেল থেকে। এমন পরিস্থিতিতেও যুদ্ধের রেশ দু’দেশের অন্দরেই। রবিবার নবান্নে রাজ্যের সব শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠক থেকেই রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশ আধিকারিকদের একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের উদ্দেশ্যে একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে এবং বাহিনীর সম্ভাব্য উপস্থিতি সামাল দিতে কী কী প্রস্তুতি নিতে হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে নবান্ন।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে নিখুঁত থাকে, তা নিয়েও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। রেডিয়ো, মোবাইল বা অন্য যে কোনও যোগাযোগ মাধ্যম সব ক্ষেত্রেই যেন কোনও ত্রুটিমুক্ত থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার ও কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের এই নির্দেশ দ্রুত রূপায়ণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে গত সপ্তাহে সংর্ঘর্ষ শুরু হলে সমাজমাধ্যম তো বটেই, মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যমগুলিও ভূয়ো ভিডিয়ো দেখিয়েছিল বলে অভিযোগ। আগামী দিনে যাতে এই সংক্রান্ত ভূয়ো প্রচার সহজেই রোধ করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। ভূয়ো প্রচার তথা গুজবের কারণে বড়সড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা নবান্নের। তাই গুজব এবং ভূয়ো প্রচার কড়া হাতে মোকাবিলা করতে বলেছেন মুখ্যসচিব, নবান্ন সূত্রে এমনটাই খবর।

আরও পড়ুন: সীমান্তে ঢুকতে পারে পাক সেনাও, যা হচ্ছে যুদ্ধের থেকে কম কিছু নয়, সন্ধ্যার প্রেস ব্রিফিংয়ে বড় বার্তা ভারতের DGMO

কোনওরকম তথ্য এলে তা সঙ্গে সঙ্গে ডিজি কন্ট্রোল রুমে পাঠাতে হবে। রাজ্য পুলিশের ডিজির কন্ট্রোল রুমে যাতে কেবলমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদেরই রাখা হয়, সে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সীমান্তবর্তী এলাকার কোনও তথ্য যাতে নজরের বাইরে না যায়, সে বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গেই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকেও সবরকম প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাতে তাদের দ্রুততার সঙ্গে কাজে নামানো যায়, সে বিষয়েও বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের।

সোমবার শেষ হচ্ছে সংর্ঘর্ষ বিরতির মেয়াদ। তারপর ফের দু’দেশ সংর্ঘর্ষ বিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রাজি হবেন, কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না কেউ। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা সেনাবাহিনী মোতায়েন হতে পারে, এই আশঙ্কায়ও রয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া ১০টি রাজ্যকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত সপ্তাহেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সীমান্তবর্তী ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চূয়াল বৈঠক করেছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, তারপরেই মুখ্যসচিব বৈঠক করে বেশকিছু নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশকে। রাজ্যের প্রতিটি থানায় আগামী দুই মাসের জন্য রেশন মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রেশন শুধু স্থানীয় পুলিশ নয়, বহিরাগত বাহিনীর সদস্যদেরও প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে। একই সঙ্গে, বাহিনী মোতায়েন হলে তাদের থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা কেমন হবে, তা আগেভাগেই ঠিক করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় সেই প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা! বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা চেয়ে মোদীকে চিঠি রাহুলের

পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। রাজ্য সরকার চায়, প্রতিটি থানায় যেন কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট মজুত থাকে। যে কোনও ধরনের অপারেশন বা অশান্তির পরিস্থিতিতে এই জ্যাকেট পুলিশ ও বাহিনীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। তা ছাড়া, নজরদারি বাড়ানোর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাদের অধীনস্থ এলাকায় সন্দেহভাজন বা বহিরাগতদের গতিবিধির ওপর নজরদারি বাড়াতে। কোথাও কোনও গোষ্ঠীগত উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে কি না, তা নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। নবান্নের এই নির্দেশ স্পষ্টতই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে শক্তপোক্ত করে তোলার উদ্যোগ বলেই মনে করেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে ভবিষ্যতের যে কোনও চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে তৈরি থাকতে চাইছে নবান্ন।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনাররা ছাড়াও, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারেরা ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে যোগ দেন ।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন