কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
রাস্তা ধসে গেছে। ভেঙেছে বাড়িঘর। সেতুর অর্ধেক ধসে গিয়েছে। আপাতত সরকারি ত্রাণ দিয়েই জীবন-জীবিকা চলছে সেখানকার মানুষদের। তার মধ্যে নাগরাকাটা ব্লকের গাঠিয়া নদীর উপরে সেতু সংস্কারের কাজ আটকে দিলেন স্থানীয় মহিলারা। গভীর রাতে ধসে পড়ে বালির বস্তার গার্ডওয়াল। বরাত জরে প্রাণে বাঁচে শ্রমিকেরা।
আরও পড়ুনঃ নাদিয়ালে এক পক্ষাঘাতগ্রস্ত মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ
নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা এলাকায় গাঠিয়া নদীর উপরে থাকা সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ভেঙেচুড়ে গিয়েছিল সবটা। আর উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য এই সেতু যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেতু ভেঙে পড়ায় সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল বামনডাঙা,টন্ডু, খেরকাটা বস্তির সঙ্গে। শুধু তাই নয়, এই সেতুর উপর দিয়েই পূর্বের আরও রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়। সেই কারণে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছিল কাজ। সিমেন্টের বস্তায় বালি মাটি ভরে প্রাথমিকভাবে সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। তবে তাতেই ঘটে গেল বিপত্তি। বালির বস্তা ধসে পড়ে।
তবে কোনওমতে প্রাণে বেঁচে যান শ্রমিকরা। কাজ বন্ধ করে দেয় বামনডাঙা এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনায় চাঞ্চল ছড়ায়। এলাকাবাসী অভিযোগ করা শুরু করেন, যে বোল্ডারগুলি দিয়ে ব্রিজ তৈরি হচ্ছিল সেগুলি আকৃতিতে ছোট।
আরও পড়ুনঃ স্ত্রী ফেসবুক করায় আপত্তি, শাশুড়ির হাতে মাথা ফাটল জামাইয়ের!
যে সংস্থা কাজ করছিল তার ম্যানেজার শুভঙ্কর বোস বলেন, “আমি বাঁধ তৈরির নিয়ম জানি না। গ্রামবাসী বলল পাথরের আকৃতিটা ঠিক করে দিতে। ওরা বলছিল ছোট আকৃতির পাথর এসেছে। বড় পাথর চাইছে। বাড়িক যা দেখার দেখবে ইঞ্জিনিয়ার সাহেবরা।
আমরা ইমারজেন্সি কাজের জন্য এসেছিলাম।” জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি সীমা চৌধুরী বলেন, “বেশ কিছু পাথর খুবই খারাপ। আর গয়েরকাটা ব্রিজ শুধু সরকারের এলাকা নয়। এটা দিয়ে অসম, নাগাল্যান্ডে যাওয়া যায়। তাঁরাও তো যেতে পারবে না। তাই আমরা বন্যার পরই RO-র সঙ্গে যোগাযোগ করি। যে বোল্ডার ফেলা হয়েছে তার আকৃতি সঠিক নয়। ময়নাগুড়ির ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেছিস যাতে এজেন্সির সঙ্গ কথা বলেন।”