Tuesday, 14 October, 2025
14 October
Homeউত্তরবঙ্গSiliguri: সমাজসেবার প্রতিটি ক্ষেত্রে এক অন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন; রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেলেন শিলিগুড়ির...

Siliguri: সমাজসেবার প্রতিটি ক্ষেত্রে এক অন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন; রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেলেন শিলিগুড়ির অনুপ

এক অন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শিলিগুড়ির বিনয় মোড় এলাকার বাসিন্দা অনুপ বিশ্বাস।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:

ছেলের হাতে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। দুর্যোগ মোকাবিলা থেকে পরিবেশ রক্ষা, সমাজসেবার প্রতিটি ক্ষেত্রে এক অন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শিলিগুড়ির বিনয় মোড় এলাকার বাসিন্দা অনুপ বিশ্বাস। তাঁর এই নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তাঁকে দেওয়া হয়েছে ‘মাই ভারত ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম অ্যাওয়ার্ড।’

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ত্রিপুরা সফর ‘আমিষ’ করতে তৈরি ছিল পদ্ম-সংগঠন, ‘নিরামিষ’ করল পদ্ম-প্রশাসন, আলোচনা ‘ট্রাম্প-কনভয়’ নিয়ে

গত ৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতির হাত থেকেই তিনি এই সম্মান গ্রহণ করেন। বর্তমানে মাস্টার অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত রয়েছেন সমাজকল্যাণমূলক নানা কাজে। বিশেষ করে দুর্যোগ মোকাবিলা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্তির পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে অনুপ বলেন, ‘পুরস্কারের মেইলটি পেয়ে আমি এবং আমার পরিবার অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। একসময় আমার সমাজসেবার কাজে পরিবার তেমন সমর্থন করেনি। কিন্তু এখন তারা গর্ববোধ করে।’

আরও পড়ুনঃ ভারতই ফার্স্ট বয়! নোকিয়া, এরিকসন, স্যামসং ও হুয়াওয়েকে টেক্কা ভারতের!

মাত্র ১৮ বছর বয়সে প্রথমবার রক্তদান করেছিলেন অনুপ। তাঁর দেওয়া রক্তে এক ব্যক্তির প্রাণ বাঁচে, যা এতটুকু জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত তাঁর। সেই অভিজ্ঞতাই সমাজসেবার পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার জয়ীকে। এখন তিনি নিয়মিত প্রতি তিন মাস অন্তর রক্তদান করেন।

রাষ্ট্রপতি পুরস্কার হাতে পাওয়ার পরও বিশ্রাম নেননি। উত্তরবঙ্গে যখন বন্যা পরিস্থিতিতে বহু মানুষ বিপর্যস্ত, তখন পুরস্কার অনুষ্ঠান শেষে তিনি সরাসরি ফিরে আসেন নিজের এলাকায়, দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে।

শুধু তাই নয়, অনুপ ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি ছোট্ট পাঠশালা চালু করেছেন, যেখানে দুঃস্থ পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে পড়ানো হয়।

সমাজের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়া এই তরুণ এখন শিলিগুড়ি ও উত্তরবঙ্গের বহু যুবকের অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর কথায়, ‘সমাজের জন্য কিছু করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় পুরস্কার।’

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন