ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ তৈরি করছে চিন। সেই বাঁধটা বোমার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। এমনটাই জানালেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু। তাঁর কথায়, চিনের এমন পদক্ষেপ ভারতের পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগজনক। প্রসঙ্গত,আন্তর্জাতিক জলচুক্তিতে সই করেনি চিন। ফলে কোনও নিয়মের আওতাতেও পড়ে না তারা। এই ‘অবাধ স্বাধীনতা’কে কাজে লাগিয়ে ভারতবিরোধী যেকোনও ছক কষতে পারে তারা।
আরও পড়ুন: দিলীপের মুখে মমতার প্রশংসা, অভিমানের সুর গলায়
মঙ্গলবার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাণ্ডু বলেন, “ইয়ারলুং সাংপোর (ব্রহ্মপুত্রের তিব্বতি নাম) উপর বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ বানাচ্ছে চিন। ওদের বিশ্বাস করা যায় না। ওরা যে কী করতে পারে কেউ জানে না। সামরিক আগ্রাসনের কথা বাদ দিলাম। আমার মনে হয় এই বাঁধের প্রকল্প কোনও সামরিক আগ্রাসনের চেয়েও ঢের বেশি উদ্বেগজনক। এই বাঁধের ফলে আমাদের অস্তিত্ব সংকট পর্যন্ত হতে পারে। এই বাঁধকে ‘জলের বোমা’ হিসাবেও ব্যবহার করতে পারে চিন।”
খাণ্ডুর কথায়, যেহেতু আন্তর্জাতিক জলবণ্টন চুক্তিতে নেই চিন, তাই এই বাঁধের অপব্যবহার করতে পারে তারা। বাঁধ তৈরি হওয়ার পর কখনও যদি চিন আচমকা জল ছেড়ে দেয় তাহলে অরুণাচলের সিয়াং একেবারে ভেসে যাবে। আবার কখনও বাঁধ দিয়ে গোটা ব্রহ্মপুত্রের জলই নিজেরা নিয়ে নিতে পারে চিন। এছাড়াও বাঁধ তৈরি হলে ভূতাত্ত্বিক কিছু সমস্যাও হতে পারে। তার জেরে অরুণাচলে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: কর্মীদের কাছে ‘ইনস্ট্রাকশন’! জানেন না মুখ্যমন্ত্রী-মুখ্যসচিব
এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে খাণ্ডুর আবেদন, চিনের ‘ষড়যন্ত্র’ রুখতে পালটা পদক্ষেপ করা উচিত। তাঁর পরামর্শ, ভারতও পালটা বাঁধ দিক ব্রহ্মপুত্রে। ইতিমধ্যেই সেই নিয়ে আলোচনাও শুরু করেছে অরুণাচল সরকার। অন্যদিকে, চিনা বাঁধ তৈরির কাজ এগোচ্ছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। প্রায় ১৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বরাদ্দ করা হতে পারে এই বাঁধের জন্য।