Friday, 1 August, 2025
1 August, 25
Homeআন্তর্জাতিক নিউজSyria Christmas Tree: ক্রিসমাস ট্রি পোড়ানোর ঘটনায় সিরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ

Syria Christmas Tree: ক্রিসমাস ট্রি পোড়ানোর ঘটনায় সিরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ

দুই সপ্তাহ আগে বিদ্রোহীদের হাতে উৎখাত হয়েছেন দীর্ঘদিন যাবত প্রেসিডেন্ট থাকা বাশার আল-আসাদ

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.




সিরিয়ায় ক্রিসমাস ট্রি পোড়ানোর ঘটনার জের ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এতে দেশটির নতুন ইসলামপন্থী কর্তৃপক্ষকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানানো হচ্ছে।

সুকায়লাবিয়াহ শহরের প্রধান চত্বরে ক্রিসমাস ট্রিতে আগুনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। দেশটির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই শহরটি খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

হায়াত তাহরির আল-শাম এইচটিএস ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, এ ঘটনায় কয়েকজন বিদেশী যোদ্ধাকে আটক করা হয়েছে।

ইসলামপন্থী এই সংগঠনটির নেতৃত্বেই সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার উৎখাত হয়েছে।

এইচটিএস প্রতিনিধিরা সিরিয়ার ধর্মীয় ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের স্বাধীনতা ও অধিকার সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছে।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ক্রিসমাসের আগের রাতে ক্রিসমাস ট্রিতে আগুন দিচ্ছে দুই মুখোশধারী।

ভিডিওতে দেখা যায় ঘটনার পর সুকায়লাবিয়াহ চত্বরে বিক্ষুব্ধদের সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন এইচটিএস এর ধর্মীয় নেতা।

আরও পড়ুন: Couple Life: স্ত্রীর সঙ্গে সেক্স করতে চাপ, ভিডিয়ো করে বিক্রি করল স্বামী

খ্রিস্টানদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে তাকে ক্রস ধরে থাকতে দেখা যায়, যা সাধারণত রক্ষণশীল ইসলামপন্থীরা করেন না।

মঙ্গলবার রাজধানী দামেস্কের একাংশসহ বিভিন্ন এলাকায় আগের চেয়ে বেশী বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসে। দামেস্কের কাছে কাসা এলাকায় লোকজনকে বিদেশী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।

সিরিয়া এখন মুক্ত, নন-সিরিয়ানদের চলে যাওয়া উচিত,” বলছিলেন তারা।

দামেস্কের কাছে বাব তৌমা এলাকায় বিক্ষোভকারীরা একটি ক্রস আর সিরিয়ার পতাকা বহন করছিলেন।

আমরা আমাদের ক্রসের জন্য জীবন দেবো,” শ্লোগান দিচ্ছিলেন তারা।

জর্জেস নামে একজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “আমরা যদি আমাদের খ্রিস্টান ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে আমাদের দেশে বাস করতে না পারি, তাহলে আমরা এখানে থাকব না।”

সিরিয়ায় অনেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর বসবাস আছে। এর মধ্যে আছে কুর্দি, আর্মেনিয়ান, আসিরিয়ান, খ্রিস্টান, দ্রুজ, আলাউয়ি শিয়া ও আরব সুন্নি।

শিয়া ও সুন্নি মিলে দেশটির মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী।

দুই সপ্তাহ আগে বিদ্রোহীদের হাতে উৎখাত হয়েছেন দীর্ঘদিন যাবত প্রেসিডেন্ট থাকা বাশার আল-আসাদ। তিনি ও তার পিতা ৫০ বছরেরও বেশী সময় দেশটি শাসন করেছেন।

এরপর বাস্তুচ্যুত সিরিয়ানদের অনেকে নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবার তুরস্ক জানিয়েছে যে, ২৫ হাজারের বেশি সিরিয়ান দেশে ফিরেছে।

আরও পড়ুন: Cochbihar News: আন্তর্জাতিক সাহিত্যে কোচবিহারের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা

এদিকে,এখন এইচটিএস কীভাবে সিরিয়া শাসন করে সেটি হবে দেখার বিষয়।

এই গোষ্ঠীটি একটি জিহাদি গ্রুপ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলো। তখন শরিয়া ভিত্তিক শাসনের জন্য সহিংসতার নীতি থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা আরও বাস্তববাদী নীতি গ্রহণ করে।

চলতি মাসের শুরুতে যোদ্ধারা যখন দামেস্কের দিকে যাত্রা শুরু করে তখন এর নেতারা সব সিরিয়ানদের জন্য এক সিরিয়াবিনির্মাণের কথা বলেছিলেন।

মঙ্গলবার নতুন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তাদের নেতা আহমেদ আল-শারা বিপ্লবী সব গ্রুপগুলোর সাথে সমঝোতায় পৌঁছেছেন যে সব গ্রুপকে এক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হবে। বার্তা সংস্থা সানা এই খবর দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ আল-বাশির বলেছেন বিদ্রোহী যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করতে মন্ত্রণালয়টি পুনর্গঠন করা হবে।

সিরিয়ায় অনেকগুলো সশস্ত্র গোষ্ঠী আছে। এর মধ্যে কয়েকটি এইচটিএস এর বিরোধিতাও করেছে। আরও কয়েকটির সাথে তাদের সম্পর্ক স্পষ্ট নয়।

এইচটিএস এখনো জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় আছে।

যদিও এটি পরিবর্তনের কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চলমান আছে।

যুক্তরাষ্ট্র এক সময় আহমেদ আল-শারার মাথার দাম এক কোটি ডলার ঘোষণা করেছিলো। শুক্রবার তারা সেটি বাতিল করেছে।

তবে, দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত আছে।

শুক্রবার তারা দেইর এজ্জর শহরে বিমান হামলা করেছে। এতে ইসলামিক স্টেট জিহাদি গ্রুপের দুজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

বিদেশী যোদ্ধাদের উপস্থিতি, ইসলামপন্থী চরমপন্থি এমনকি বিদায়ী সরকারের সমর্থক-এদের যে কারোরই নিরাপত্তাহীনতা কিংবা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় স্বার্থ থাকতে পারে।

এটি সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী নেতৃত্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

 

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন