নতুনকে স্বাগত জানানোর সঙ্গে সঙ্গে একবার পেছন ফিরে দেখার পালা, গোটা একটা বছরে কী কী পড়ে থাকল পেছনে। চলতি বছরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব চিরবিদায় নিয়েছেন ইহজগৎ থেকে। শিল্প থেকে শুরু করে সাংষ্কৃতিক ক্ষেত্রে বড়সড় শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
লাভ, ক্ষতি মিলিয়েই জীবন। মানুষের জীবনও ক্ষণস্থায়ী। ২০২৪ দেশের থেকে কেড়ে নিয়েছে একাধিক নক্ষত্রকে। বছর শেষে তাঁদের প্রতি আরেকবার শ্রদ্ধা জানিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। কাদের কাদের হারালাম আমরা এ বছরে?
আরও পড়ুন: Shantiniketan Poush Mela: পৌষ মেলায় আইনী পরিষেবা স্টল থেকে সহায়তা
পঙ্কজ উধাস– দীর্ঘ অসুস্থতার সঙ্গে যুদ্ধ শেষে বছরের শুরুতেই ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত হন খ্যাতনামা গজল শিল্পী পঙ্কজ উধাস। ভারতীয় সঙ্গীত জগতে গজল ঘরানাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তাঁর অনন্য অবদান রয়েছে। পাশাপাশি প্লেব্যাক সিঙ্গিংও করেছেন তিনি। তাঁর কণ্ঠে ‘চিটঠি আয়ি হ্যায়’ গানটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মুগ্ধ করেছে।
উস্তাদ রশিদ খান– শিল্পীর আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমেছিল দেশ জুড়ে। ক্যানসারের সঙ্গে অসম লড়াইয়ে ৫৫ বছর বয়সেই প্রয়াত হন তিনি। ভারতীয় সঙ্গীত জগতে নক্ষত্র পতন হয় তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে বলিউডে প্লেব্যাক সিঙ্গিংও করেছেন তিনি। পেয়েছেন পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড।
আরও পড়ুন: Horoscope Today’s: আজ ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার, কী বলছে আপনার আজকের রাশিফল?
প্রভা আত্রে– জানুয়ারি মাসে প্রয়াত হন খ্যাতনামা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী ডক্টর প্রভা আত্রে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কিরণ ঘরানার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন তিনি। সঙ্গীতে ডক্টরেট এর পাশাপাশি বিজ্ঞান এবং আইন নিয়েও পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। পেয়েছেন ভারত সরকারের তিন তিনটি পদ্ম পুরস্কার।
রতন টাটা– অক্টোবর মাসে প্রয়াত হন ভারতের গৌরব রতন টাটা। মুম্বই এর ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শিল্পপতি রতন টাটা। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শিল্পপতির বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। টাটা গোষ্ঠীর সূত্রপাত হয়েছিল রতন টাটার প্রপিতামহের হাত ধরে। সে প্রায় একশো বছর আগেকার কথা। ১৯৯১ সালে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যানের পদে বসেন রতন টাটা। তাঁর হাতে ফুলেফেঁপে ওঠে ব্যবসা। অটোমোবাইল এবং ইস্পাত শিল্প থেকে টেলি সার্ভিস শুরু করেন তিনি। খ্যাতনামা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস এর পত্তন হয় ২০০২ সালে। ২০১২ সাল নাগাদ টাটা গোষ্ঠীর সাম্মানিক পদে বসেন রতন টাটা। তারপর থেকে বিভিন্ন সমাজকল্যাণ মূলক কাজও করেছেন তিনি।
জাকির হুসেন– ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের দুনিয়ায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে জাকির হুসেনের নাম। তিনি ছিলেন আরেক কিংবদন্তি তবলা বাদক উস্তাদ আল্লাহ রাখা খানের সুযোগ্য পুত্র। মাত্র সাত বছর বয়সেই তবলা শিক্ষায় হাতেখড়ি হয় জাকিরের। আর মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই সারা দেশে জুড়ে অনুষ্ঠান করতে শুরু করেন তিনি।
পেয়েছেন বহু পুরস্কার: শুধু ভারতীয় সঙ্গীত নয়, আন্তর্জাতিক সঙ্গীত জগতেও অনন্য অবদান রয়েছে জাকির হুসেনের। অসংখ্য ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক ছবির জন্য সঙ্গীত তৈরি করেছেন তিনি। দীর্ঘ কেরিয়ারে অগুনতি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছেন জাকির হুসেন। তিনটি পদ্ম পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। ডিসেম্বরে ৭৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন জাকির হুসেন।
