হয় রাস্তায় পিচ নেই, নয়ত বড়-বড় খানাখন্দ, নয়ত গর্ত। এটা কোন রোড জানেন? বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে। প্রতিদিন সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন এই রাস্তা দিয়ে। অফিস যাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়া, সকলেরই যাতায়াতের অন্যতম রাস্তা এটি। সেই বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের হালে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ থেকে গাড়ির চালকরা।
আরও পড়ুনঃ ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান কর্মসূচি’; ৩৫ বছর ধরে বেহাল রাস্তা, বিধায়ক যেতেই তুমুল বিক্ষোভ
বস্তুত, ডানলপ-দক্ষিণেশ্বর-বালি সহ একাধিক এলাকার মানুষজনের ভরসা এই এক্সপ্রেসওয়ে। কিন্তু সেখানেই রাস্তার এই অবস্থা। চার চাকা তো বটেই বিশেষ করে বাইক চালকদের অবস্থা দুর্বিসহ। প্রতি মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে হাজার-হাজার ছোট বড়ো গাড়ি।
দিনের থেকে রাতের অবস্থা আরও শোচনীয়। এরপরে বৃষ্টি হলে বিপদ আরও চরমে ওঠে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা এই বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের নিত্যসঙ্গী। অনেক নিত্য পথ চলতি মানুষজন বলছেন সরকার দুর্গাপুজার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা দান না করে এই বেহাল রাস্তার দিকে নজর দিক।
আরও পড়ুনঃ বয়স ২২, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বাংলার ক্রিকেটার প্রিয়জিৎ ঘোষের
ক্ষুব্ধ গাড়ি চালক বলেন, “চাকা পামচার হয়ে যাচ্ছে। ভয় লাগে। রাস্তার এই অবস্থা বেহাল” অপরদিকে বাইক চালক বলেন, “প্রচুর ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্ষাকালে রাস্তায় জল হলে বোঝা যায় না কোথায় গর্ত। বিপদের ঝুঁকি আছে। কী অবস্থা দেখুন।”
আর এক বাইক আরোহী বলেন, “এটা তো এক্সপ্রেসওয়ে। যেমন রাস্তা হওয়া উচিত তেমন নেওয়া হয় না। বিশেষ করে বর্ষাকালে বিপদের। গর্ত হলেই ইট দিয়ে দিচ্ছে। কালও দুর্ঘটনা ঘটেছ।”