Wednesday, 30 April, 2025
30 April, 2025
HomeকলকাতাKolkata: এটা কিন্তু কলকাতারই রাস্তা! সংস্কারের কাজ চলছে তো চলছে

Kolkata: এটা কিন্তু কলকাতারই রাস্তা! সংস্কারের কাজ চলছে তো চলছে

রাস্তার এমন বেহাল দশা, হাঁটা যায় না, গাড়ি নিয়ে যাতায়াত তো দূরের কথা। কবে এই নরক যন্ত্রণা থেকে মিলবে মুক্তি?

চলছে তো চলছে, খাল সংস্কারের কাজ যেন শেষই হচ্ছে না। রাস্তার এমন বেহাল দশা, হাঁটা যায় না, গাড়ি নিয়ে যাতায়াত তো দূরের কথা। কবে এই নরক যন্ত্রণা থেকে মিলবে মুক্তি? এমনই প্রশ্ন সেখানকার লোকজনের। এই রাস্তা কোথায় জানেন? না, সুন্দরবনের কোনও দ্বীপ নয়, কলকাতা পুরসভার ১৬ নম্বর বোরোর ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছবি।

হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালের কাছে মালঞ্চ পেট্রোল পাম্পের পাশের এমজি রোড সংযোগকারী রাস্তা। এলাকাবাসী দাবি, গত পাঁচবছর ধরে কাজ চলছে। পৌর প্রতিনিধি শ্রীমতী ক্রিস্টিনা বিশ্বাস গত মে মাসে এই রাস্তাটি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। বোরো চেয়ারম্যান শ্রী সুদীপ পোল্লেও এই রাস্তার ব্যাপারে অবগত।

আরও পড়ুন: জয়নগর স্টেশন শুধু ভারত নয়, এর মালিক নেপালও!

মালঞ্চ অঞ্চলে প্রচুর মানুষ বসবাস করেন যাঁদের মধ্যে এক বৃহৎ সংখ্যক বরিষ্ঠ নাগরিক। রাস্তার এখন যা অবস্থা, তাতে পড়ুয়া থেকে নিত্যযাত্রী সকলের অসুবিধা হয়। প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করেন তাঁরা। এতটাই শোচনীয় অবস্থা য়ে চিকিৎসার প্রয়োজনে কোনও অ্যাম্বুলেন্স বা আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কোনও অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ঢুকতে পারে না। কলকাতার মহানাগরিক মহাশয়ের কাছে স্থানীয় কাউন্সিলরের  কাছে অভিযোগ হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।

এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বৃষ্টি হলেই রাস্তায় নেমে আসে পাক। যার কারণে হাঁটাচলা করা যায় না। গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। বাইক নিয়ে বহু মানুষের দুর্ঘটনা ঘটে। তবুও হেলদোল নেই। এই নরক যন্ত্রণার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জীবন যাপন করছেন তাঁরা। এলাকায় রয়েছে একটি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র। এই কাদা পেরিয়ে চিকিৎসক -রোগীদের আসতে হচ্ছে। এই অবস্থায় মানুষজন বুঝে পারছেন না তাঁরা কী কাজ করবেন।

আরও পড়ুন: ‘দিদি সব জায়গায় আছে’, দিলীপ-রিঙ্কুর বিয়ে নিয়ে বলতে গিয়ে হঠাৎ মমতার কথা কেন

অভিযোগ, কলকাতা পুরসভাকে কর দেওয়ায় দেওয়ার পরও অবহেলিত এরা। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে খাল সংস্কার এর কাজ হয়ে যাচ্ছে, সংস্কারের কাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। কবে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে তারা জানে না। কানুপ্রিয় মজুমদার নামে এক বৃদ্ধ বলেন, “আমাদের রোজ হাসপাতালে যেতে হয়। থাকতে পারছি না এখানে। আমাদের পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। আজ প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে এমন হয়ে আছে।”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন