আবারও খাস কলকাতা মহিলা চিকিৎসকের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। দিদির সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হল ভাইকে। বাগুইআটিতে গাড়ি পার্কিংকে ঘিরে গন্ডগোলের সূত্রপাত। ইতিমধ্যেই বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা চিকিৎসক। আক্রান্ত চিকিৎসকের বয়ান অনুযায়ী, রঘুনাথপুরে তাঁর চেম্বার। বুধবার রাতে চেম্বারের সামনে গাড়ি রাখা নিয়ে বচসার সূত্রপাত।
অভিযোগ, স্থানীয় আবাসনের এক সেক্রেটারি ওই চিকিৎসকের গাড়ির পিছনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে পথ আটকান। চিকিৎসক প্রতিবাদ করলে তাঁকে ধাক্কা মারার অভিযোগ অভিযুক্ত ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। দিদি আক্রান্ত হয়েছেন, এই খবর জানতে পেরে, সেখানে পৌঁছন চিকিৎসকের ভাই। অভিযোগ, তাঁকেও মারধর করা হয়। কপাল ফেটে তাঁর রক্ত বের হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই আবাসনের সেক্রেটারি তথা অভিযুক্ত। পাল্টা তিনি দাবি করেন, ওই চিকিৎসকের চেম্বারে অসামাজিক কাজকর্ম চলে। নির্যাতিতার পাল্টা দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ জ্বলছে প্রতিবেশী নেপাল, অশান্তির আঁচ কলকাতার সোনাগাছিতে; উদ্বেগে সোনাগাছির নেপালি যৌনকর্মীরা
বাগুইআটির ভরপুর এলাকার মধ্যেই এভাবে এক মহিলা চিকিৎসকের শ্লীলতাহানির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চিকিৎসকের ভাই বলছেন, “আমরা তো ভাবতেও পারছি না, সামান্য গাড়ি রাখা নিয়ে কীভাবে এমন ঝামেলা হতে পারে, কীভাবে জল এতদূর গড়াতে পারে। এটাই চাই, অভিযুক্তরা সকলে শাস্তি পাক।”
নির্যাতিতা চিকিৎসকের দাবি, “রাস্তার একপাশে ব্লকড ছিল। যে গাড়ি ওখানে কখনই দাঁড়ায়নি, সেদিন দাঁড়িয়ে ছিল। যাঁর গাড়ি তিনি, চালকের পাশেই বসে ছিলেন। বারবার বলার পরও তিনি গাড়ি সরাননি। নিজের গাড়ি নিয়ে আমার গাড়ি বার করার রাস্তা আটকে দিলেন। উনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন, ওনার ছেলের হাতে কোনও শার্প কিছু ছিল, ওনার ছেলে আমার বুকে হাত দিয়েছে। আমার ভাইকে মারে। পরে জানতে পারি, ওই আবাসনের অনেকের সঙ্গেই ওনার ঝামেলা চলছে। এক মহিলা, চিকিৎসক, কীভাবে তিনি আমার গায়ে হাত দিলেন, কীভাবে এতটা সাহস হল, বুঝতেই পারছি না।”
আরও পড়ুনঃ হেঁশেল ঠেলে মাথাভাঙ্গার মহিলারা মেতে উঠেছেন দুর্গাপুজো আরাধনায়
যদিও অভিযুক্তের বক্তব্য, “ওই মহিলা চিকিৎসকের গাড়ি পার্ক করার ওখানে কোনও জায়গাই নেই। কিন্তু এমনভাবে গাড়ি পার্ক করেন, যে গোটা রাস্তাটাই আটকে যায়। উনি তো আউনসাইডার। তাছাড়াও সুইপাররাও আমার কাছে অভিযোগ করেছিলেন, ওখানে প্রচুর মদের বোতল পড়ে থাকছে, যা পরিস্কার করতে অসুবিধা হচ্ছে।” চিকিৎসকের গায়ে হাত দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অসম্ভব, গোটা সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে দিয়েছি। ঝামেলার সময়ে আমাদের ১০ জন বোর্ড মেম্বার এসেছিলেন, পুলিশ ছিল। পুরো এরিয়া সিসিটিভি কভারেজে রয়েছে।”