ছট উৎসবকে ঘিরে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার জন্য বড় পদক্ষেপ নিল পূর্ব রেল। বাড়তি ভিড় সামলাতে এবং যাত্রা যাতে নিরাপদ ও আরামদায়ক হয়, তা নিশ্চিত করতে একাধিক বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘১৯৭৬ সালের মিস কলকাতা’; ফুরফুরে এক রোদের জন্মদিন ৮০-তে ‘প্রিয় রীনাদি’
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎসবের সময় মোট ১,৩০০টি ফেস্টিভ্যাল স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। এই বিশেষ ট্রেনগুলি হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা, আসানসোল এবং মালদহ টাউন স্টেশন থেকে ছাড়বে এবং যাত্রীদের পৌঁছে দেবে পাটনা, জয়নগর, রক্সৌল, গোরখপুর, লখনউ, আনন্দ বিহার, নতুন দিল্লি, গান্ধীধাম, উদনা ও খাটিপুরা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যে।
যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল, জসিদিহ ও ভাগলপুর স্টেশনে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী হোল্ডিং এরিয়া। সেখানে যাত্রীরা নিরাপদে অপেক্ষা করতে পারবেন এবং সুশৃঙ্খলভাবে ট্রেনে উঠতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ যাদবপুরে ২০ হাজার ‘ভূতুড়ে’ ভোটার! সিপিএমের নিশানায় তৃণমূল-বিজেপি
উৎসবের আবহ বজায় রাখতে স্টেশন চত্বরে বাজানো হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ছট সঙ্গীত, যা যাত্রীদের মধ্যে উৎসবের আনন্দ আরও বাড়িয়ে তুলছে।
নিরাপত্তা ও যাত্রীসুবিধার জন্য পূর্ব রেলের পদক্ষেপ:
- বড় স্টেশনগুলিতে রাখা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স, জরুরি অবস্থায় তাৎক্ষণিক পরিষেবার জন্য।
- ভিড় নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ে উপস্থিত থাকছেন নিয়মিত অফিসার ও সহায়ক কর্মী।
- সিসিটিভি ক্যামেরা ও ওয়ার রুমের মাধ্যমে চলছে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি।
- বুকিং কাউন্টারে ভিড় কমাতে বাড়ানো হয়েছে মোবাইল টিকিটিং সুবিধা।
- হাওড়া, শিয়ালদহ ও অন্যান্য বড় স্টেশনে আরপিএফ কর্মী সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, যারা যাত্রীদের সহায়তা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘‘ছট উৎসবের সময় যাতে প্রত্যেক যাত্রী নিরাপদে, স্বস্তিতে এবং আনন্দের সঙ্গে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি।’’





