পর পর দু’টি ঘটনা। যার ফলাফল নতুন করে উত্তাল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দিনভর সচিবালয়ের চত্বরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চালাল বাংলাদেশের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষা দফতরের ভিতরে বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে বাংলাদেশ পুলিশ। নামে সেনাও।
আরও পড়ুনঃ ব্রেকআপ হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না! এখানে ঘুরতে গেলে
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-র একটি প্রতিবেদন তরফে জানা গিয়েছে, এদিনের আন্দোলন-বিক্ষোভে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৫ জন পড়ুয়া। ইতিমধ্যে তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চলছে চিকিৎসা। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক পুলিশ ও সেনা জওয়ানও।
সাম্প্রতিককালে নানা ঘটনায় বাংলাদেশে পথে নামতে দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের। আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তারা। এবারেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। আর যার সূত্রপাত হয়েছে সোমবার। ঢাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভেঙে পড়ে যুদ্ধবিমান। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। আহত দেড়শোর অধিক। বাংলাদেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় শোক। শিশু মৃত্যুতে হাহাকার পরিস্থিতি।
আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গে নতুন ‘বিপদ’, উধাও ২০ লক্ষ টাকা; রাত হলেই বেরিয়ে পড়ছে গ্যাস কাটার নিয়ে
এই ঘটনার পরেই সোমবার মাঝরাতে একটি নির্দেশিকা জারি করে বাংলাদেশের শিক্ষা দফতর। বিমান দুর্ঘটনা ও রাষ্ট্রীয় শোক হিসাবেই মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করে দেয় তারা। কিন্তু রাতবিরেতে এই নির্দেশিকা প্রকাশ হওয়ার কারণে জানতেই পারেন না বহু পরীক্ষার্থী। খবর আসে সকালে। আর তখননই বাড়ে ক্ষোভ।
মধ্যরাতে কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে হল? সেই প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদে নামে পরীক্ষার্থীরা। শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। অভিযান চলে শিক্ষা দফতরে। পদত্যাগের দাবি জানানো হয় শিক্ষা উপদেষ্টারও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাজধানীতে প্রশাসনিক কার্যালয় বা সচিবালয়ে অভিযান চালিয়ে ঢুকে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। পৌঁছে যান সেই দফতরের ৬ নম্বর ভবনের সামনে। সেখানেই রয়েছে শিক্ষা দফতর। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের বাধার কারণে সেই ভবনের অন্দরে প্রবেশ করতে পারেননি প্রতিবাদীরা। সেখানেই চলে আন্দোলন-বিক্ষোভ।
