মাত্র কয়েক মাস আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদনে বাংলা ইতিমধ্যেই পেছনে ফেলেছে দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশকে। মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ (Swapan Debnath) জানালেন, সেই অবস্থান এখনও অটুট।
আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ডিম উৎপাদনে রাজ্য জাতীয় গড়ের চেয়েও অনেক এগিয়ে। তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যেখানে দেশের গড় ডিম উৎপাদনের হার ৩.৭৮ শতাংশ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে তা ১৮.০৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আপনাকে খাবার পৌঁছে দেবে Rapido! Swiggy, Zomato-র দিন শেষ
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্যে ডিম উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬২৩.৯ কোটি। যা দেশের মোট উৎপাদনের ১১.৩৭ শতাংশ। এই নিরিখে সারা দেশে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলা। ওই অর্থবর্ষেই রাজ্যে ডিমের চাহিদা ছিল প্রায় ১ হাজার ৫২৮ কোটি। অর্থাৎ উৎপাদন চাহিদার তুলনায় কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে রাজ্য।
ডিসেম্বর ২০২৩-এর তথ্য বলছে, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর ইতিমধ্যেই ডিম ও মাংস উৎপাদনে গতি আনতে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। মুক্তাঙ্গন পদ্ধতিতে মুরগি ও হাঁস পালনের মাধ্যমে গত তিন বছরে প্রায় ২.৫ কোটি বাচ্চা বিতরণ করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ভয়ে সিঁটিয়ে গেল নাবালক! আইসক্রিমের ভিতরে টিকটিকি!
সরকারি তরফে স্পষ্ট বার্তা, রাজ্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়েই আগামী দিনে রফতানির পথে হাঁটতে চায় বাংলা। উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে গোটা দেশের মধ্যে নিজেদের জায়গা আরও মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন।