এ পার বাংলার যত কমফর্ট ফুড অর্থাৎ পেট এবং মনকে আরাম দেওয়া খাবার আছে, তার মধ্যে প্রথম সারিতে ভাত-ডাল-পোস্ত থাকবেই। এ খাবার এমনই, যা এক গ্রাস মুখে তুললে, পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, নিমেষে বাড়ির আরামের অনুভূতি এনে দিতে পারে। সেই চিরচেনা ডাল-ভাত-পোস্ত একটু অন্য ভাবে খেতে চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন এই রান্নাটি। উপকরণ অল্পবিস্তর একই। শুধু রান্না করা এবং খাওয়ার পদ্ধতিটি ভিন্ন। পদটির নাম ডালপোস্ত।
ভাতের সঙ্গে ডাল মিশিয়ে, তাতে পোস্ত মেখে খাওয়ারই চল। কিন্তু এই রান্নায় ডাল আর পোস্ত মিশে যাবে আগেভাগেই। তাদের একসঙ্গে মেখে খেতে হবে ভাতে। আর তার সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসাবে থাকবে ঝাঁঝালো সর্ষের তেল আর কাঁচালঙ্কার সতেজ গন্ধ। যা গরম ভাতের সঙ্গে একাই একশো।
আরও পড়ুন: জলের দরে ব্রডব্যান্ড! ভারতের ইন্টারনেটে নিঃশব্দ বিপ্লব
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
১/২ কাপ মুগ ডাল
১/২ কাপ মুসুর ডাল
২ টেবিল চামচ পোস্ত
৩টি কাঁচালঙ্কা
৩-৪ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
১/২ চা চামচ পাঁচফোড়ন
১ টি মাঝারি মাপের পেঁয়াজকুচি
স্বাদ মতো নুন
সামান্য চিনি
আরও পড়ুন: অবস্থান স্পষ্ট করল দিল্লি; তিন বিদেশি সংবাদমাধ্যমের এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ ভারতে
প্রণালী:
দু’রকমের ডাল ভাল ভাবে ধুয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। অন্য একটি পাত্রে পোস্তও ভিজিয়ে রাখুন।
এ বার মোমো ভাপানোর পাত্রে ডাল ভাপিয়ে নিন মিনিট পনেরো। লঙ্কা দিয়ে মিহি করে বেটে নিন পোস্তও। এ বার রান্নার পালা।
কড়াইয়ে ২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল গরম করে তার মধ্যে পাঁচফোড়ন দিন। সুগন্ধ বেরোলে দিন পেঁয়াজকুচি। অল্প নাড়াচাড়া করে পেঁয়াজের রং স্বচ্ছ হয়ে এলে ওর মধ্যে দিয়ে দিন ভাপিয়ে নেওয়া ডাল এবং পোস্তবাটা ভাল ভাল ভাজুন। প্রয়োজন হলে সামান্য জল দিন এবং স্বাদ মতো নুন, অল্প চিনি দিয়ে রান্না হতে দিন।
ভাজা ভাজা হয়ে গেলে উপরে এক টেবিলচামচ সর্ষের তেল এবং সামান্য কাঁচালঙ্কা কুচি ছড়িয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। পরিবেশনের সময় উপরে ছড়িয়ে দিন আরও একটু সর্ষের তেল। গরম ভাতের সঙ্গে শুধু এই রান্নাটি থাকলে অন্য কোনও পদের দরকার পড়বে না।