ইন্ডিয়ান জুট ইন্ডাস্ট্রিস রিসার্চ অ্যান্ড আ্যসোসিয়েশনের ছাঁটাই হওয়া বাঙালি কর্মচারী, সায়েন্টিস্টদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ যে তাদের বিনা নোটিশে ছাঁটাই করছে কর্তৃপক্ষ।
তারাতলায় IJIRA র গেটের সামনে বিক্ষোভ করল বাংলা পক্ষর কলকাতা জেলা শাখা৷ বিক্ষোভের পর গবেষণা সংস্থার ডিরেক্টর অনিল শার্মার সাথে দীর্ঘ আলোচনা হয় ও তাকে স্মারকলিপি জমা দেয় হয়। ছাঁটাই হওয়া বাঙালিদের সংস্থায় পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চ্যাটার্জী, কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা৷
আরও পড়ুনঃ ক্যাম্পাসের বাইরে খেতে গিয়ে দুর্গাপুরে ধর্ষণের শিকার ডাক্তারি পড়ুয়া!
বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, “এই বাঙালি জাতিবিদ্বেষমূলক আচরণ আমাদের চেনা। এর আগে Indian Institute of Chemical Biology (IICB) থেকে বাঙালি ছাঁটাই দেখেছি, পরবর্তীতে আইন এবং সংবিধান মেনে সেই সব সংস্থার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। ছাঁটাই হওয়া কর্মচারীদের পুনর্বহালও করিয়েছি। IJIRA তেও একই ঘটনা, প্রথমে তাদের স্থায়ী পদ থেকে চুক্তিভিত্তিক করে দেওয়া, তাতে চাকরি ছেড়ে না গেলে আসামে স্থানান্তরিত করা এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করা- এই প্রসেস চলে। তাতেও কাজ না হলে বিনা নোটিশে ছাঁটাই করা হয়। আমাদের দাবী না মেনে IJIRA বাঙালি কর্মচারীদের পুনর্বহাল না করলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।”
বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভারতের অর্থনীতির একটা মূল অংশ পাট শিল্পকে জুড়ে। পাট সংক্রান্ত গবেষণার কন্ট্রোল IJIRA র হাতে, যা বাঙালি বিজ্ঞানী কর্মচারীদের পরিশ্রমের ফল। সুতরাং কোন অবস্থাতেই বাঙালি কর্মচারীদের ছাঁটাই আমরা মেনে নেবো না।”
আরও পড়ুনঃ রাহুল গান্ধীও ভারতে গণতন্ত্রের লড়াই লড়ছেন; নোবেল চাইবে কংগ্রেস!
বাংলা পক্ষ কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা বলেন, “IJIRA র পরিচালক থাকলেও বকলমে এই সংস্থা চালায় মেম্বার অফ কাউন্সিল যার সদস্য বিভিন্ন জুট মিলের কর্তা ব্যক্তিরা, যেসব জুটমিলগুলোর মালিক বাঙালি নয়। তাদের পরামর্শেই এই ছাঁটাই।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের মাটিতে এই বাঙালি বিদ্বেষ মূলক আচরণ বাংলা পক্ষ বন্ধ করে ছাড়বে এবং ছাঁটাই হওয়া কর্মচারী পুনর্বহাল না হলে পরবর্তী আন্দোলন আরও জোরদার হবে।”
এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষ কলকাতা জেলার সহ-সম্পাদক সুরজিৎ সেনগুপ্ত, দপ্তর সম্পাদক সৌগত মজুমদার সহ বাংলা পক্ষর অন্যান্য সহযোদ্ধারা।