Tuesday, 14 October, 2025
14 October
HomeদেশAmit Shah: 'জেলে বসে সরকার চালানো যাবে না,' স্পষ্ট করলেন শাহ

Amit Shah: ‘জেলে বসে সরকার চালানো যাবে না,’ স্পষ্ট করলেন শাহ

মোদী সরকারের অঙ্গীকার হল রাজনীতিতে নৈতিক মানদণ্ড পুনঃস্থাপন।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

বুধবার লোকসভায় বহু বিতর্কের মধ্যেই তিনটি সাংবিধানিক সংশোধনী বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রস্তাবিত আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যে কোনও প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রী যদি গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে টানা ৩০ দিন কারাবন্দি থাকেন, তবে ৩১তম দিন থেকে তাঁকে পদচ্যুত করা হবে। মুক্তি পেলে পুনরায় পদে ফেরার সুযোগ থাকবে।

বিল পেশের সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীদের তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি অভিযোগ করেন, ‘এটি বিরোধী রাজ্যগুলিকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গ্রেফতার করানো হচ্ছে।’ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘এটি কেন্দ্রের স্বৈরাচারী মানসিকতার প্রতিফলন। ফেডারেল কাঠামো ও বিচারব্যবস্থাকে এড়িয়ে বিরোধী সরকার ফেলার হাতিয়ার এই বিল।’ এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও নিয়ম মেনে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘এটি গণতন্ত্রের মূল নীতি লঙ্ঘন করছে।’

আরও পড়ুনঃ কাঠগড়ায় প্রধান শিক্ষক, বাঁকুড়ায় মিড ডে মিলের টাকা তছরুপ; বিক্ষোভ স্কুলে

অমিত শাহর বক্তৃতার সময় বিরোধী সাংসদরা কাগজ ছুঁড়ে প্রতিবাদ জানান। চিৎকার-স্লোগানের জেরে একাধিকবার অধিবেশন স্থগিত হয়। এই পরিস্থিতিতেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে লেখেন, ‘মোদী সরকারের অঙ্গীকার হল রাজনীতিতে নৈতিক মানদণ্ড পুনঃস্থাপন। দেশে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে যে, জেলের ভিতর থেকেও কেউ কেউ ক্ষমতায় টিকে যাচ্ছেন। সংবিধান রচনার সময় সংবিধান প্রণেতারা ভাবতেই পারেননি, গ্রেফতার হলেও নেতারা নৈতিক কারণে পদত্যাগ করবেন না। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখেছি মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা জেলের ভিতর থেকেও সরকার চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা চলতে পারে না।’

আরও পড়ুনঃ ভাড়া বাড়ল দ্বিগুণ, তিনগুণ! কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে এসি, নন-এসি রুমের ভাড়া জানলে চোখ উঠবে কপালে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ‘এই বিল অনুযায়ী, যদি কোনও জনপ্রতিনিধি টানা ৩০ দিন কারাগারে থাকেন, তবে ৩১তম দিনে প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পদ থেকে সরাবেন। তা না হলে আইন মেনে পদে থাকার যোগ্যতা চলে যাবে। তবে আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন পেলে পুনরায় পদে ফেরার সুযোগ থাকবে।’

বিলে যা যা রয়েছে

১. যে কোনও ব্যক্তি গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলে, তিনি প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মন্ত্রী হিসেবে আর কাজ করতে পারবেন না।
২. সংবিধান রচনার সময় দেশের প্রতিষ্ঠাতারা কল্পনাও করেননি যে একদিন এমন পরিস্থিতি আসবে, গ্রেফতার হলেও রাজনৈতিক নেতারা নৈতিক কারণে পদত্যাগ করবেন না। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশের সামনে এমন একাধিক ঘটনা এসেছে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রী জেলের ভিতর থেকেও সরকার চালিয়ে গিয়েছেন।
৩. বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনও অভিযুক্ত রাজনীতিবিদ গ্রেফতারের ৩০ দিনের মধ্যে জামিন না পেলে, ৩১তম দিনে তাঁকে বাধ্যতামূলক ভাবে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। সে দায়িত্ব থাকবে প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর উপর। যদি তাঁরা না সরান, তবে আইন অনুসারে ওই ব্যক্তি পদে থাকার যোগ্য হবেন না। তবে আদালতের মাধ্যমে জামিন পেলে এবং বৈধ প্রক্রিয়ায় মুক্তি পেলে, পুনরায় পদে ফেরা সম্ভব হবে।

শেষে দেশের আম জনতার উদ্দেশে শাহ প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘এখন দেশের নাগরিকদেরই ঠিক করতে হবে কোনও প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রী কি জেলের ভিতর থেকে সরকার চালানো উচিত?’

 

 

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন