কুশল দাসগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
স্বামী বিবেকানন্দর ১৬৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে উত্তরবঙ্গ থ্যালসেমিয়া সোসাইটির তরফ থেকে গতকাল স্বামী বিবেকানন্দের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে, আয়োজন করা হয়েছিল দুস্থদের শীতবস্ত্র এবং কম্বল প্রদান। এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন রাজনীতিবিদ গোপাল লামা, যিনি বর্তমানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি, বিমল বনিক, উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষক শ্রদ্ধেয় সুকুমার ভাদুরী। স্বামীজীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করলেন গোপাল লামা প্রথমে, বিমল বনিক এবং সুকুমার ভাদুড়ী। এদিন বিশিষ্ট প্রাক্তন শিক্ষক সুকুমার ভাদুড়ী জানালেন স্বামীজি আমাদের কাছে এক অদ্ভুত আদর্শ।
আরও পড়ুন: Jadavpur University: মার্কশিট না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, কিন্তু কাদের?
তার বাণী এবং তার কথা, 8 থেকে 80 সব মানুষই মনে রাখে। কি করেছেন তিনি, কি করেন নি সেটা একটা মহাকাব্য। স্বামীজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী। শুধু লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী বললেই হবে না বলতে হবে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। শিকাগো শহরে গিয়ে তার সেই বক্তৃতা, চমকে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে কিনেছিল ভারত বর্ষকে। অথচ কি সাধারণ ছিলেন তিনি, তার চিন্তা-ভাবনা ছিল অসাধারণ।
আরও পড়ুন: Bengali Short Story: “নীরব পৃথিবী চায়”
তিনি বারবার একটা কথাই বলেছেন জীবনের লক্ষ্য রাখো, এবং সেটাই পূরণ কর, সেটাই তোমার কাজ। স্বামী বিবেকানন্দ, মানুষের কাছে কিভাবে পরিচিত হয়েছেন সেটা বড় কথা নয়? তিনি নিজেকে কোটি কোটি ভারতবাসীর মনে, এবং অন্তর দিয়ে গেঁথে রেখেছেন। তার আশার বাণী এবং তার কথা, আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। স্বামী বিবেকানন্দ, যুগ পুরুষ এবং যুব নায়ক। বছরের পর বছর ধরে, তিনি পূজিত হয়ে আছেন ভারতবর্ষের মনে অন্তরে। আজ তার জন্মদিন, তার প্রতি যে আমরা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে পারলাম, এটাই আমাদের কাছে অনেক। অন্যদিকে বিমল বণিক জানালেন, আমাদের এই থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি বহুদিন ধরে মানুষের সেবায় কাজ করে চলেছে, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো এই দুস্থদের বস্ত্র দান। আজকের দিনটি ভারতবাসীর কাছে একটি স্মরণীয় দিন, ভাই স্মরণীয় দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে, আমরা এই কাজ করতে উদ্যোগ নিয়েছি। জানালেন সুকুমার ভাদুড়ী।